পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০০ মাইল দূরে ৫ মিনিটের বক্তৃতা
২১৫

দক্ষিণবাসীদিগকেই বলিব। তাহাদের দোষ উত্তর অঞ্চলে রটাইয়া লাভ কি? দক্ষিণের লোকজন লইয়াই আমাদের কারবার। সুতরাং তাহাদের মতিগতি পরিবর্ত্তন করিবার জন্য তাহাদের সঙ্গেই সর্ব্বদা বুঝাপড়া, বাক্‌বিতণ্ডা ইত্যাদি হওয়া আবশ্যক।

 ম্যাডিসনের বক্তৃতায় আমার প্রধান কথা ছিল—“নিগ্রোয় ও শ্বেতাঙ্গে সদ্ভাব বৃদ্ধি করা অত্যন্ত আবশ্যক। যত উপায়ে সম্ভব এই দুই সমাজে বন্ধুত্বের সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত করিতেই হইবে।” নিগ্রোদিগের কর্ত্তব্যও আমি বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছিলাম। আমার মতে কেবল ক্ষমতা বা অধিকার পাইবার জন্য চেষ্টা করিলে চলিবে না। নিগ্রোরা সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিতে স্বার্থপর ভাবে কেবলমাত্র নিজ সমাজের কথা ভাবিলেই চলিবে না। তাহাদিগকে নিরপেক্ষতা এবং ‘জাতীয়তা’ অর্জ্জন করিতে হইবে। সমগ্র আমেরিকার স্বার্থ তাহাদিগকে বিচার করিয়া দেখিতে হইবে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয়’ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ বা কেবলমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ সমাজের কথা ভাবিলে চলিবে না। এক সঙ্গে উভয় সম্প্রদায়ের কথা যিনি ভাবিতে অক্ষম তিনি তাঁহার কর্ত্তব্য পালনের অযোগ্য। এই সকল কথা বলিয়া আমি আমার স্বজাতিগণকে তাহাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করাইয়া দিয়াছি।

 এই গেল আমার বক্তৃতার রাষ্ট্রীয় অংশ। সঙ্গে সঙ্গে নিগ্রোসমাজের উন্নতির উপায়ও আলোচনা করিয়াছিলাম। আমি বলিলাম আমাদের উন্নতির প্রধান উপায় দুইটি—প্রথম শিক্ষা,