পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০০ মাইল দূরে ৫ মিনিটের বক্তৃতা
২১৭

 আমি জানি একজন কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্রো নিজ বিদ্যাবলে তিন বিঘা জমি চষিয়া ৬৬ বুশেল শকরকন্দ আলু পাইয়াছিলেন। অথচ তাঁহার পল্লীর অন্যান্য শ্বেতকায় চাষীরা ৪ বুশেল মাত্র পাইত। তিনি উন্নত কৃষিবিজ্ঞানে পণ্ডিত ছিলেন এবং নূতন কৃষি-প্রণালী জানিতেন—শ্বেতাঙ্গেরা জানিত না। কাজেই পল্লীসমাজে এই কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্রো সকলেরই পূজার পাত্র হইয়া পড়িলেন। বুঝিয়া দেখ—কেন? শ্বেতাঙ্গেরা বুঝিত যে, এই ব্যক্তি সমাজের একটা সমৃদ্ধির উপায় বাহির করিয়া ফেলিয়াছেন। অতএব তোমরা কৃষিকর্ম্মে অভ্যস্ত হইতে থাক, মনোযোগের সহিত শিল্প কর্ম্মে লাগিয়া যাও, এবং এইরূপ কার্য্য করিতে করিতেই চরিত্র ও বুদ্ধি গঠিত কর, তোমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হইবে।”

 আমার এই সকল মত আমি আজীবন পোষণ করিয়াছি। এইবার প্রথম প্রচার করিলাম। পরেও আমি কখন এইমত পরিবর্ত্তন করি নাই।

 যৌবনকালে আমি নিগ্রোজাতির নিপীড়নকারী ব্যক্তিদিগকে বড়ই ঘৃণা করিতাম। আজকাল ইহাদিগকে আর ঘৃণা বা নিন্দা করি না—ইহাদিগকে দেখিয়া দুঃখিত হই মাত্র।

 অন্যলোককে দাবিয়া রাখিতে পারিলে অনেকে খুসী হয়। নিজের ক্ষমতার বড়াই করিবার জন্য বহু ব্যক্তি অপর ব্যক্তি বা জাতিকে চাপিয়া রাখিতে চাহে। অপর লোকের যশোলাভে ও উন্নতিতে ইহাদের বুক চড় চড় করে এবং চোখ টাটায়। কিন্তু ইহারা কি মুর্খ! ইহারা একসঙ্গে সঙ্কীর্ণতা এবং বুদ্ধিহীনতার