পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

পরিচয় দিতেছে। এইরূপ স্বার্থপর, পরশ্রীকাতর, চরিত্রহীন লোকদিগকে উপলক্ষ্য করিয়া আমি অনেকসময়ে স্বগত বলিয়া থাকি,—

 “ওহে ক্ষুদ্রচেতা পরপীড়নকারী ব্যক্তিগণ, তোমরা কি মনে করিয়াছ যে, যে সকল সুযোগ পাইয়া তোমরা খানিকটা উন্নত হইয়াছ, সেই সকল সুযোগ সংসারের অন্য কোন লোক কখনই পাইবে না? তুমি আমাকে বা উহাকে বা দশজন ব্যক্তিকে চাপিয়া রাখিয়া কি করিবে? তুমি কি সংসারের সকল কর্ম্মক্ষেত্রগুলিই একচেটিয়া করিয়া রাখিয়াছ? দেশের সর্ব্বত্রই কি তুমি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করিতে পারিয়াছ? অত ক্ষমতা তোমার নাই। এই বিশাল মানবজগতের মধ্যে তুমি এক নগণ্য কীট মাত্র। বিরাট কর্ম্মক্ষেত্রের এক কণামাত্রে দাঁড়াইয়া তুমি আস্ফালন করিতেছ!

 বিশ্বে প্রতিদিন কত নূতন নূতন শক্তির সৃষ্টি হইতেছে—কত নূতন নূতন সুযোগ পাইয়া কত নূতন নূতন কর্ম্মবীরের অভ্যুদয় হইতেছে—জগৎ প্রতিদিন বাড়িয়াই চলিয়াছে। এই নিত্যনূতন বিকাশকে রুদ্ধ করিবার ক্ষমতা কাহারও নাই। যে নিয়মে তুমি বড় হইয়াছ, ঠিক সেই নিয়মেই সংসারের লক্ষ লক্ষ নরনারী বড় হইতেছে ও হইবে। তাহাদের উন্নতি দেখিয়া তোমার কষ্ট হয়—তুমি নির্ব্বোধ। তুমি তাহাদিগকে তোমার সমান যশস্বী হইতে দিতে চাহ না—তুমি মুর্খ। ঐ দেখ, তোমার অজ্ঞাতসারে তোমাকে অবজ্ঞা করিয়াই নূতন নূতন কর্ম্মী ও চিন্তাবীর জগতে