পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

কর্ত্তাদিগের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলাম। বোষ্টন হইতে আট্‌লাণ্টা ২০০০ মাইল। এতদূর যাইতে হইবে। অথচ বক্তৃতা করিবার মাত্র ৩০ মিনিট পূর্ব্বে সভাস্থলে আমার গাড়ী পৌঁছিবে। এখানে ৫ মিনিট মাত্র বক্তৃতা করিতে সময় পাইব। আলাণ্টায় সর্ব্বসমেত একঘণ্টা মাত্র থাকিয়া পুনরায় আমাকে বোষ্টনে আসিতে হইবে। আমার কাজের ভিড় এত। যাহা হউক দক্ষিণ অঞ্চলের এই মহাসম্মিলনে বক্তৃতা করিবার সুযোগ ছাড়িলাম না।

 এখানে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ উভয় সমাজেরই গণ্যমান্য লোক উপস্থিত ছিলেন। সর্ব্বসমেত ২০০০ লোকের সমাগম হইয়াছিল। আমার শিক্ষাপ্রণালীর বিবরণ দিলাম—শিল্পশিক্ষানীতি বুঝাইয়া দিলাম এতদ্ব্যতীত নিগ্রোসমাজের কর্ত্তব্য ও দায়িত্বের কথা বলিলাম। অধিকন্তু শ্বেতাঙ্গদিগের যথোচিত সমালোচনা করিতেও ছাড়িলাম না। আট্‌লাণ্টার সংবাদপত্রগুলি আমার বক্তৃতার খুব তারিফ করিতে লাগিল। আমার কার্য্যোদ্ধার হইয়া গেল—দক্ষিণ প্রান্তের শ্বেতাঙ্গ মহলে আমি সুপ্রতিষ্ঠিত হইলাম।

 ইহার পর হইতে কৃষ্ণাঙ্গ ও শেতাঙ্গ সকলেই আমার বক্তৃতা শুনিবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতেন। টাস্কেজীর কাজকর্ম্ম হইতে বিদায় লইয়া আমাকে এই বক্তৃতাকার্য্যে লাগিয়া থাকিতে হইত। উত্তর অঞ্চলে আমি টাস্কেজীর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতাম। নিগ্রোমহলে আমার স্বজাতির বর্ত্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ উন্নতির উপায় আলোচনা করিতাম।