পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০০ মাইল দূরে ৫ মিনিটের বক্তৃতা
২২৩

তাহাদের ধনসম্পত্তি নাই। এক্ষণে তাহাদের সম্পত্তির মালিক হওয়া আবশ্যক। এজন্য তাহাদের কৃষিকর্ম্মে শিল্পে ও ব্যবসায়ে নিযুক্ত হওয়া কর্ত্তব্য। এই সকল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাহাদের সহায় হইতে পারেন। তাহাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করিলে অচিরেই তাহাদের চরিত্র গঠিত হইবে—এবং তাহারা বিষয় সম্পত্তির অধিকারী হইয়া যথার্থ দায়িত্বের সহিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করিতে পারিবে। আটলাণ্টার সম্মিলনে কংগ্রেস এক মহাসুযোগ পাইবেন। উত্তরপ্রান্তে ও দক্ষিণপ্রান্তে সন্ধি স্থাপিত হইবার পর কংগ্রেস এরূপ সুযোগ আর পান নাই। তাঁহারা ইচ্ছা করিলে এইবার আমেরিকার নবজীবন প্রবর্ত্তনের সূত্রপাত করিতে পারেন।”

 আমার কথা বলা হইয়া গেলে আমার প্রতিনিধি বন্ধুগণ আমার খুব সুখ্যাতি করিলেন। কংগ্রেসের সভ্য মহোদয়গণও আমার প্রশংসা করিলেন। কংগ্রেসের মহাসভা হইতে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করা হইল। আটলাণ্টা প্রদর্শনীর ব্যয় যুক্ত-রাষ্ট্রের ‘জাতীয়’ কোষাগার হইতে পাওয়া যাইবে—আশা পাইলাম।

 তারপর প্রদর্শনী সাজাইবার ব্যবস্থা চলিতে লাগিল। কর্ম্মকর্ত্তারা স্থির করিলেন নিগ্রোসমাজের জন্য বিশেষ এক বিভাগ খোলা আবশ্যক। স্বাধীনতা লাভের পর ২০ বৎসরের মধ্যে নিগ্রোরা শিল্পে, কৃষিকর্ম্মে, শিক্ষায়, নানা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়াছে। সেই গুলি একস্থানে জমা করিয়া দেখান কর্ত্তব্য।