পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০০ মাইল দূরে ৫ মিনিটের বক্তৃতা
২২৫

তাহাতে নিগ্রোর আসন থাকাও বাঞ্ছনীয়। নিগ্রোর পক্ষ হইতে একজন প্রতিনিধির সেই সম্মিলনে বক্তৃতা করা আবশ্যক। কোন কোন শ্বেতাঙ্গ আপত্তি করিলেন; বলিলেন “অতবড় বিরাট ব্যাপারে কৃষ্ণাঙ্গের স্থান দিবার প্রয়োজন নাই।” শেষ পর্য্যন্ত সাব্যস্থ হইল, একজন নিগ্রো প্রতিনিধিকে বক্তৃতার জন্য নিমন্ত্রণ করা হইবে। কয়েকদিন পরে আমিই সেই নিমন্ত্রণ পাইলাম।

 আমি বিষম সমস্যায় পড়িলাম। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে আমি গোলাম ছিলাম। আমার মনিবেরা কেহ কেহ হয়ত এই সম্মিলনে উপস্থিত থাকিবেন। তাঁহাদের সম্মুখে আমি স্বাধীন ভাবে কেমন করিয়া বক্তৃতা করিব?

 তারপর নিগ্রোজাতির পক্ষে শ্বেতাঙ্গের সম্মুখে দাঁড়াইয়া বক্তৃতা করিবার সুযোগ এই প্রথম পাওয়া গেল। এই ঘটনার উপর নিগ্রোসমাজের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করিতেছে। এই সভাস্থলে, আবার, কৃষ্ণাঙ্গও অনেক থাকিবেন এবং উত্তর অঞ্চলের শ্বেতাঙ্গও অনেক আসিবেন। সমগ্র যুক্তরাজ্যের ইহা মহাসম্মিলন বলিলে কোন অত্যুক্তি হয় না। এই সর্ব্বজন সমাগমের আসরে, এই “জাতীয়” সভামণ্ডপে দাঁড়াইয়া সকল প্রদেশ ও সকল সম্প্রদায়ের মান্য রক্ষা করিয়া কথা বলা কি সহজ?

 আমার স্বজাতির প্রতি কর্ত্তব্য আছে। তাহা পালন করিতেই হইবে। আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেই হইবে—অথচ তাহাদের দোষের কথা উল্লেখ না করিলেই বা চলিবে কেন? এদিকে উত্তর অঞ্চলের ইয়াঙ্কিগণ তাঁহারাও