আমার বক্তৃতা শুনিয়া সমগ্র আমেরিকার নিগ্রোসমস্যা বুঝিতে চেষ্টা করিবেন। দক্ষিণপ্রান্তের নিগ্রোয় ও শ্বেতাঙ্গে সম্বন্ধ কিরূপ দাঁড়াইয়াছে তাঁহারা আমার বক্তৃতা হইতেই তাহার পরিচয় লইবেন। সুতরাং আমার দায়িত্ব অতি গুরুতর—সমগ্র আমেরিকাজাতি আমার পরীক্ষক ও বিচারক। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার উপযুক্ত শিক্ষা আমি এতদিন লাভ করিয়াছি কি? এই সময়ে আমার বয়স ৩৫। ৩৬ বৎসর।
আমার মাথায় কত কথাই আসিতে লাগিল। আমি নানা উপায়ে সমস্যাটা তলাইয়া মজাইয়া বুঝিতে চেষ্টা করিলাম। ইতিমধ্যে সমগ্র আমেরিকার সংবাদপত্রগুলি আমাকে প্রকাশ্যভাবে পরামর্শ দিতে লাগিল। কেহ লিখিল—“আমার অমুক অমুক বিষয় আলোচনা করা উচিত, অমুক অমুক প্রশ্নের উত্থাপন না করাই ভাল।” কোন সম্পাদক মহাশয় পরামর্শ দিলেন—“ওয়াশিংটন এই এই কথা যেন বলেন।” ইত্যাদি। আমার স্বজাতিগণ এবং দক্ষিণ প্রান্তের শ্বেতাঙ্গেরাও আমাকে উপদেশ দিতে ছাড়িলেন না। যাহা হউক আমার নিজের বক্তব্য স্থির করিয়া ফেলিলাম। ১৮ই সেপ্টেম্বর সভা হইবে—তাহার পূর্ব্বেই আমার বক্তৃতা লেখা হইয়া গেল। টাস্কেজীর শিক্ষকগণকে আমার প্রবন্ধ পড়িয়া শুনাইলাম। তাঁহাদের আলোচনা অনুসারে বক্তৃতার কিয়দংশ মার্জ্জিতও করাইয়া লইলাম।
১৭ই সেপ্টেম্বর তারিখে টাস্কেজী হইতে আটলাণ্টার সম্মিলনে রওনা হওয়া গেল। টাস্কেজীতে রেলে চড়িতে যাইতেছি, এমন