লাগিয়া যাও। বিদেশে যাইবার প্রয়োজন নাই। “যেখানে আছ সেইখানেই বাল্তি ফেল।”
দক্ষিণ অঞ্চলের শ্বেতাঙ্গদিগের অনেক দোষই আছে স্বীকার করি। কিন্তু এ কথাও মুক্তকণ্ঠে আমি বলিতেছি যে, এখানে নিগ্রোজাতি ব্যবসায় হিসাবে কোন অসুবিধাই ভোগ করে না। বরং আমাদের আর্থিক উন্নতির যথেষ্ট সুযোগই আমার স্বজাতিগণ এখানে পাইয়াছে। কোন নিগ্রোই তাহা ভুলিয়া থাকিতে পারিবে না।
আমরা অল্পকাল হইল স্বাধীন হইয়াছি। বলা বাহুল্য, অন্যান্য স্বাধীনজাতির যে অবস্থা আমাদেরও সেই অবস্থাই হইবে। পুরাতন লব্ধপ্রতিষ্ঠ-জাতির মধ্যে ব্যক্তিমাত্রকেই খাটিয়া খাইতে হয়। সংসারের কাজকর্ম্মে বিদ্যাবুদ্ধি ও চরিত্রবলের প্রয়োগ করিয়াই তাহারা জগতে বিরাজ করিতেছে। নিগ্রোজাতিকেও সেইরূপ পরিশ্রম স্বীকার করিতে হইবে। আমাদের অন্নের গ্রাস আমাদিগকে নিজহাতেই মুখে তুলিতে হইবে। তাহার জন্য শারীরিক পরিশ্রম অত্যাবশ্যক।
“গোলামীর যুগে পরিশ্রম করিতাম—কিন্তু এখন স্বাধীন হইয়াছি পরিশ্রম করিব কেন?”—কোন চিন্তাশীল ব্যক্তিই এরূপ ভাবিতে পারেন না। কারণ স্বাধীনতার অর্থ পরিশ্রম হইতে মুক্তিলাভ নয়! স্বাধীনতার যুগেও হাতে পায়ে খাটিতে হইবে—মাথার ঘাম পায়ে ফেলিতে হইবে।
গোলামীযুগে পরের স্বার্থে খাটিতাম, পরের নেতৃত্বে খাটিতাম,