পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

 ত্রিশবৎসর পূর্ব্বে আমরা কেনা গোলাম ছিলাম। যখন স্বাধীনতা পাই, তখন দুটা একটা কম্বল, দুটা চারটা মুরগীর ছানা অথবা দুটা চারিটা শাকশব্জী মাত্র আমাদের সম্বল ছিল। সেইটুকুই আমাদের মূলধন জানিয়া রাখিবেন। সে সব কথা আর মনে করিয়া দিতে হইবে কি? এই নিঃসম্বল অবস্থায়ই ত্রিশবৎসরের মধ্যে আমাদিগকে নানা কর্ম্মক্ষেত্রে দাঁড়াইতে হইয়াছে। কৃষিকর্ম্মের যন্ত্র হাতিয়ার বলুন, গাড়ীজুড়ি বলুন, এঞ্জিনষ্টীমার বলুন, সংবাদপত্র পুস্তকাদি বলুন, চিত্রকলা, মূর্ত্তিগঠনই বা বলুন, অথবা দোকানদারী এবং ব্যাঙ্ক পরিচালনাই বলুন—সকলই আমাদিগকে শিশুর মত আরম্ভ করিতে হইয়াছে। বিনা মূলধনে ও বিনা অভিজ্ঞতায়, আমরা এই সকল কর্ম্মে প্রবেশ করিয়াছি। ত্রিশবৎসরের ভিতর কত ফলই বা পাইতে পারি? তথাপি যে আপনাদের বিরাট কাণ্ডের এক কোণে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সভ্যতার নিদর্শনগুলি দেখাইতে পারিয়াছি ইহাই বিস্ময়ের কথা।

 এই সঙ্গে আমি শ্বেতাঙ্গ-সমাজকে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা অবশ্য কর্ত্তব্য বিবেচনা করিতেছি। দক্ষিণ প্রান্তের শ্বেতাঙ্গ জনগণ হইতে আমরা গত ত্রিশবৎসর অশেষ সাহায্য ও পরামর্শ পাইয়াছি। উত্তর অঞ্চলের ধনী মহাত্মারাও আমাদিগকে ধনদান করিয়া নানা উপায়ে কর্ম্মজীবনে অগ্রসর করিয়া দিয়াছেন। আজ আমরা আপনাদের সম্মুখে যাহা উপস্থিত করিতে পারিয়াছি তাহার জন্য শ্বেতাঙ্গ-সমাজের নিকট আমরা