পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আটলাণ্টা-সম্মিলনে অভিভাষণ
২৪৩

সত্যসত্যই ঋণী। আপনাদের সাহায্য না পাইলে এত অল্পকালের ভিতর নিগ্রোজাতি এই উন্নতি দেখাইতে পারিত না।

 পুনরায় আমি দক্ষিণ প্রান্তের জননায়কগণকে বলিতেছি—এই প্রদর্শনী ও সম্মিলনের ন্যায় শুভ অবসর আমাদের দুই সমাজের পক্ষে আর আসে নাই। কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ সমাজের সৌহার্দ্দ্য ও মিলনের সূত্র এইবার যেরূপ দৃঢ়ভাবে গ্রন্থিত হইল আমাদের স্বাধীনতা লাভের পর আর কখনও সেরূপ হয় নাই। আজ এই মিলনমন্দিরে দাঁড়াইয়া ভগবানের কৃপা ভিক্ষা করিতেছি, এবং নিবেদন করিতেছি, য়ে, নিগ্রোসন্তান অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও শ্বেতাঙ্গকে ভাই বলিয়া জানিবে। আপনারাও ভগবানের কৃপায় আমাদিগকে বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্ত হউন, আমাদের উন্নতিকে আপনাদের উন্নতি বিবেচনা করিতে শিখুন এবং দুই জাতিকে অচ্ছেদ্য প্রেম-বন্ধনে সম্মিলিত করিয়া যুক্তরাষ্ট্রে যুগান্তর সৃষ্টির সহায়তা করুন। ভ্রাতৃভাবের বৃদ্ধি হইলেই এই প্রদর্শনীর সার্থকতা হইবে।

 এইরূপে পরজাতিবিদ্বেষ ও পরজাতিপীড়ন আমেরিকা হইতে লুপ্ত হইলেই এবং জাতিনির্ব্বিশেষে ন্যায্য বিচারের প্রবর্ত্তন ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বিভাগের ব্যবস্থা করিলেই এখানে নবজীবন আসিবে। সেই নবজীবনের আবির্ভাবেই আজকার এই কৃষি, শিল্প, চিত্র, মূর্ত্তি, ও ব্যবসায়ের প্রদর্শন যথার্থ ফলপ্রসূ হইবে। সেই নূতন ‘জাতীয়’ ধর্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইলেই এবং সেই নবীন আধ্যাত্মিক দৃষ্টির বিকাশ হইলেই, এই লোহালক্কড় ইট কাঠ ছবি ছাপার প্রচার সার্থক হইবে।”