পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নানা কথা
২৪৭

অনেক সংবাদপত্রও আমার বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে যোগ দিল। কেহ কেহ আমাকে কৈফিয়ৎ দিবার জন্য আহ্বান করিল।

 আমি কোন কথা বলিলাম না—চুপ করিয়া রহিলাম। আমার উপর দিয়া ঝড় বহিয়া গেল। আমি নিজের কথা সপ্রমাণ করিতে কিছুমাত্র চেষ্টিত হইলাম না—আমার বাক্যের ও চরিত্রের তীব্র সমালোচনাগুলিতেও কর্ণপাত করিলাম না। আমি বুঝিতাম, আমি কর্ত্তব্য করিয়াছি—যথাসময়ে আমার কৈফিয়ৎগুলি লোকেরা আপনাআপনিই বুঝিতে পারিবে। আমার আত্মরক্ষার জন্য এখন বাজারে নামিয়া প্রতিবাদ বা কথা কাটাকাটির প্রয়োজন নাই।

 সত্যই, তাহা হইল—ক্রমশঃ লোকেরা আমার মতই মানিয়া লইতে বাধ্য হইল। ধর্ম্মগুরুগণের চরিত্র সম্বন্ধে নানা স্থান হইতে নানা আপত্তি উঠিতে লাগিল, আমি ধীরভাবে দেখিতে লাগিলাম—কাল প্রভাবেই আমার কৈফিয়ৎ সমাজে পৌঁছিয়াছে।

 এই আটলাণ্টা বক্তৃতা সম্বন্ধেও তাহাই করিলাম। নিগ্রোসমাজের প্রতিকূল সমালোচনায় চুলমাত্র বিচলিত হইলাম না। সংবাদপত্রে আমার নিজের মত খোলসা করিয়া বলিবার প্রয়োজন বোধও করিলাম না।

 ইতিমধ্যে হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রীযুক্ত গিলম্যান পত্র লিখিলেন, “মহাশয়, আটলাণ্টা প্রদর্শনীর পুরস্কার নির্ব্বাচনব্যাপারে আপনাকে একজন পরীক্ষক মনোনীত করা হইয়াছে। আপনাকে শিক্ষা-বিভাগের প্রদর্শিত দ্রব্যগুলি পরীক্ষা করিতে