পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

কথা শুনিবামাত্র সভামণ্ডপ মুখরিত করিয়া সভাপতি মহোদয়ের জয়ধ্বনি উত্থিত হইল। কিন্‌লি জনমণ্ডলীকে অভিবাদন করিবার জন্য আসন হইতে উঠিয়া দাঁড়াইলেন—অমনি আবার গভীরতর জয়ধ্বনি উঠিতে লাগিল!

 সভাসমিতিতে বক্তৃতা করিতে গেলে একটা বিপদে প্রায়ই পড়িতে হয়। কতকগুলি হুজুগের পাণ্ডাদিগের পাল্লা এড়ান বড়ই মুস্কিল। ইহারা ‘রাতারাত’ বড়লোক করিবার উপায় প্রচার করিয়া বেড়ান। বিনা ক্লেশে নিগ্রোজাতির উদ্ধার সাধনের পথ আবিষ্কার করিয়াছেন বলিয়া ইহাঁরা হাটে বাজারে লোক জমা করেন। ইহারা ধৈর্য্য সহিষ্ণুতা ইত্যাদির একেবারেই পক্ষপাতী নন। ইহাঁরা অনেক সময় কেবল তর্কের খাতিরেই তর্ক করেন। যুক্তিতে পরাস্ত হইলেও ইহাঁরা তাহা স্বীকার করিতে কুণ্ঠিত হন। এই সকল ভবঘুরে তার্কিকদিগকে আমি দূর হইতে নমস্কার করি। তথাপি আমাকে বহুবার ইহাদের সঙ্গে বাক্‌যুদ্ধে শক্তির অপব্যয় করিতে হইয়াছে।

 আর এক জাতীয় লোক আছে। তাহারা নামজাদা লোকের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিয়া আনন্দ পায়। ইহারা একপ্রকার উৎপাত বিশেষ। কোন কাজ কর্ম্ম নাই—লোকের সময় নষ্ট করাই ইহাদের স্বধর্ম্ম। একদিন সন্ধ্যাকালে বোষ্টন-নগরের এক বড় সভায় বক্তৃতা করিয়াছি। পরদিন সকাল হইবার পূর্ব্বেই দেখি আমার নিকট এক কার্ড উপস্থিত। আমি তাড়াতাড়ি বিছানা হইতে উঠিয়া বৈঠকখানায় ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করিতে বাহির