পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নানা কথা
২৫১

হইলাম। যাইয়া দেখি একটি লোক বসিয়া আছে। সে বলিল, “কাল রাত্রে আপনি বেশ ভাল কথা বলিয়াছিলেন। আমার ভাল লাগিয়াছে। তাই আজ সকালে আরও কিছু সৎকথা শুনিতে আসিলাম।”

 আমার বন্ধুগণ আমাকে অনেক সময়ে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, “ওয়াশিংটন, তুমি এত সময় পাও কোথায়? সর্ব্বদা ত তুমি বাহিরে বাহিরে দেশভ্রমণ করিয়াই বেড়াইতেছ? বক্তৃতা দিতেই তোমার সকল সময় চলিয়া যায়! তোমার টাস্কেজীর কাজকর্ম্ম চলে কিরূপে? অথচ টাস্কেজী ত দিন দিন উন্নতির পথেই অগ্রসর হইতেছে দেখিতেছি।”

 এই সকল প্রশ্নের আমি সাধারণ উত্তর দিয়া থাকি—“দেখ, একটা মামুলি কথা আছে যে, ‘নিজে যে কাজ করিতে পার অপরকে সেই কাজ করিতে বলিও না।’ আমি কিন্তু এই প্রবাদ বাক্য মানি না। আমি আর একটা নূতন নিয়ম করিয়াছি। আমার মত এই যে, ‘অন্য লোকে যে কাজটা বেশ ভাল করিয়া করিতে পারে, তাহার জন্য তুমি মাথা ঘামাইও না। তাহাকেই সেই কাজ করিতে দাও। তুমি নিশ্চিন্ত হইয়া অন্যান্য কাজ করিতে থাক।’ এই নিয়ম অনুসারে চলি বলিয়া আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ের কাজও কম হয় না, অথচ আমিও প্রায়ই টাস্কেজীর বাহিরে বাহিরে নানা কাজ করিয়া কাটাই।”

 টাস্কেজী বিদ্যালয় আজকাল বেশ পাকা বন্দোবস্তের উপর দাঁড়াইয়া গিয়াছে। ইহার পরিচালনার নিয়ম অতি সুন্দর ও