পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

হইতে সেই উদ্যানের সকল দৃশ্যই দেখিতে পাইলাম। পল্লী হইতে নগরে কত লোক আসিয়াছে। নানা রংয়ের ফুল বিক্রী হইতেছে। স্ত্রীলোকেরা দুধের ভাঁড় আনিয়াছে। ভাঁড়গুলি খুব বড় বড় ও চক্‌চকে। কুকুরে এই সকল বহিয়া আনে। লোকজন গির্জ্জার মধ্যে প্রবেশ করিতেছে। এই দৃশ্য আমার চোখে সম্পূর্ণ নূতন জগতের বার্ত্তা আনিয়া দিল।

 কিছুকাল এই সহরে কাটাইলাম। পরে কয়েকজন বন্ধুর নিমন্ত্রণ পাইয়া তাঁহাদের সঙ্গে হল্যাণ্ডদেশ দেখিতে গেলাম। আমাদের দলে কয়েকজন ইয়াঙ্কি পুরুষ ছিলেন। আমাদের জাহাজেই ইহাঁরা আমেরিকা হইতে আসিয়াছেন। ইহাঁদের মধ্যে কেহ কেহ চিত্রকর—ছবি আঁকিতে বেশ নিপুণ এই ভ্রমণটা অতিশয় সুখকরই হইয়াছিল। একটা পুরাতন ধরণের নৌকায় করিয়া হল্যাণ্ডের খালে খালে বেড়াইতে পাইয়াছিলাম। এই উপায়ে এদেশের পল্লী-জীবন অনেকটা বুঝিতে পারিলাম। খাল দিয়া পল্লীগ্রামগুলি দেখিতে দেখিতে আমরা রটার্ডামে পৌঁছিলাম। তার পর হেগ দেখিতে গেলাম। সেখানে তখন জগতের রাষ্ট্রনীতিবিশারদেরা শান্তি-সম্মিলনে ব্যাপৃত। আমাদের স্বদেশীয় প্রতিনিধিরাও এ সভায় যোগ দিতে আসিয়াছেন। তাঁহারা আমাদিগকে দেখিয়া আপ্যায়িত করিলেন।

 হল্যাণ্ডের কৃষিকার্য্য আমার পক্ষে যথেষ্ট শিক্ষাপ্রদ হইয়াছিল। এখানকার পশুপালনও বেশ দক্ষতার সহিত হইয়া থাকে। হলষ্টাইন-নগরের গাভী বলদ ইত্যাদি জগতে সর্ব্বোৎকৃষ্ট