পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ইউরোপে তিনমাস
২৬৩

মনে হইল। হল্যাণ্ডবাসী কৃষকেরা অতি সামান্য মাত্র ভূমি হইতে অত্যন্ত বেশী পরিমাণ ফসল উৎপাদন করিয়া থাকে। কৃষিকার্য্যে ইহাদের ক্ষমতা দেখিয়া আমি বিস্মিত হইয়াছিলাম। পূর্ব্বে আমি কখন ভাবিতে পারিতাম না যে অত কম জমি চষিয়া অত বেশী ফল পাওয়া যায়। দেখিয়া বোধ হইল হল্যাণ্ডের এক ছটাক জমিও বাজে পড়িয়া নাই—সর্ব্বত্রই সুন্দর চাষ আবাদ হইতেছে। আর চারিদিকেই শস্যশ্যামল প্রান্তর তাহার মধ্যে ৪০০।৫০০ বলিষ্ঠ গাভী আনন্দে বিচরণ করিতেছে। এরূপ গোচারণের মাঠ এবং সুন্দর কৃষিকার্য্য দেখিবার জন্য সকলেরই একবার হল্যাণ্ড যাওয়া উচিত।

 হল্যাণ্ড হইতে আবার বেলজিয়ামে ফিরিয়া আসিলাম। এবারে য়্যাণ্টোয়ার্পে গেলাম না। ব্রসেল্‌সে অল্পক্ষণ ছিলাম। এখানে ওয়াটার্লুর যুদ্ধক্ষেত্র দেখিয়া আসিলাম। পরে ফ্রান্সে চলিলাম—প্রথমেই প্যারিনগরে নামিলাম। পৌঁছিবামাত্রই এক নিমন্ত্রণ পাওয়া গেল। প্যারির ইউনিভার্সিটি-ক্লব আমাদের আমেরিকাবাসী কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিমন্ত্রণ করিয়াছেন। ফ্রান্সের যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি এই নিমন্ত্রণ-সভায় সভাপতি হইয়াছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব্বর্তন সভাপতি শ্রীযুক্ত হ্যারিসনকেও এই নিমন্ত্রণে যোগদান করিতে আহ্বান করা হইয়াছিল। তিনিও উপস্থিত ছিলেন।

 ভোজনান্তে যথাবিধি বক্তৃতা হইল। হ্যারিসন মহোদয় আমার কথা এবং টাস্কেজীবিদ্যালয়ের কথা সভামধ্যে প্রচার