পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৪
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

করিলেন। আমার দ্বারা নিগ্রোসমস্যার কিরূপ মীমাংসা হইতেেছে তাহাও তিনি কিছু বুঝাইলেন।

 প্যারিনগরে আমেরিকার একজন নিগ্রো চিত্রকরের সুখ্যাতি ছড়াইয়া পড়িয়াছে। তিনি ফ্রান্সে বেশ নাম করিয়াছেন বুঝিতে পারিলাম। সকল শ্রেণীর ফরাসীরাই ইহাঁর কারুকার্য্যের প্রশংসা করিয়া থাকেন। এমন কি লাক্সেমবার্গ প্যালাসের চিত্রভবনে তাঁহার হাতের কাজ রক্ষিত হইয়াছে। এত বড় চিত্রশালায় নিগ্রোর স্থান হইয়াছে শুনিয়া ফ্রান্সের ইয়াঙ্কিরা আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন। এই নিগ্রো চিত্রকরের নাম হেন্‌রি ট্যানার। তাঁহার সঙ্গে আমাদের আলাপও হইল। তাঁহাকে দেখিয়া আমার মনে হইল, ‘রূপেতে কি করে বাপু গুণ যদি থাকে?’ জগৎ গুণের দাস। বিদ্যাবুদ্ধি থাকিলে সংসারের সকলকেই বশে আনা যায়। একথা আমি আমার নিগ্রো ভ্রাতাদিগকে সর্ব্বদাই বলিয়া আসিয়াছি। ফ্রান্সে ট্যানারের প্রতিপত্তি দেখিয়া সেই কথা আমার বার বার মনে হইতে লাগিল। ইউরোপের ও আমেরিকার কত শত লোক ট্যানারের অঙ্কিত চিত্রগুলি দেখিয়া গিয়াছেন। কিন্তু কেহ ত কখনও জিজ্ঞাসা করেন নাই—“ও গুলি কাহার তৈয়ারী? সে ব্যক্তির চামড়া সাদা কি কাল, সে কি ইংরাজ না জার্ম্মাণ, না আমেরিকার নিগ্রো?” যে ব্যক্তিই কোন কাজ ভাল করিয়া করিতে পারিবে সে মানবসংসারে প্রতিষ্ঠালাভ করিবেই। তাহাকে ছাড়িয়া দিলে মানবজাতি দরিদ্র হইবে।

 ফরাসীজাতিটাকে বড় হুজুগপ্রিয় বোধ হইল। ইহারা