পার্ল্যামেণ্ট মহাসভার অধিবেশন শুরু হইয়াছে। আমার ইয়াঙ্কি বন্ধুগণ প্রথম হইতেই ইংলণ্ডে অনেকের নিকট পত্র দিয়া রাখিয়াছিলেন। আমি পৌঁছিবামাত্র সকলেই আমাকে বক্তৃতা দিতে অনুরোধ করিলেন। আমি স্বাস্থ্যের জন্য বেড়াইতে আসিয়াছি এই আপত্তি তুলিয়া অনেকগুলি এড়াইতে পারিলাম। কিন্তু দুই একস্থলে আমি বক্তৃতা করিতে বাধ্য হইয়াছিলাম। লণ্ডনে, বার্ম্মিংহামে, ব্রিষ্টলে বড় বড় লোকেরা আমাকে অতিথি হইতে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন।
ইংলণ্ডের অনেক স্থানেই গোলামী নিবারণ সমিতির বন্ধু ও সভ্যগণের সঙ্গে আলাপ হইয়াছিল। তাঁহারা আমেরিকার দাসত্বপ্রথার বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাহায্যই করিতেন বুঝিতে পারা গেল।
ব্রিস্টলে এক মহাসভার অধিবেশনে যোগদান করি। সেখানে রাণী ভিক্টোরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তাঁহার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়।
পার্ল্যামেণ্টের কমন্স-ভবনে একদিন ষ্ট্যান্লি মহোদয়ের সঙ্গে কথাবার্ত্তা হয়। তিনি আফ্রিকার অনেক গল্প করিলেন। তাহাতে বুঝিলাম, আমেরিকার নিগ্রোরা মাতৃভূমি আফ্রিকায় ফিরিয়া গেলে বড় সুখী হইতে পারিবে না। আমেরিকাকেই তাহাদের জন্মভূমি ও মাতৃভূমি বিবেচনা করা কর্ত্তব্য। আমেরিকাই তাহাদের এক্ষণে স্বদেশ, সুতরাং ভূস্বর্গ।
আমরা দুই চারিজন সম্ভ্রান্ত ইংরাজের পল্লী-গৃহে বাস করিবার সুযোগ পাইয়াছিলাম। তাঁহাদের পারিবারিক ও