সাধারণের সঙ্গে মিলিয়া মিশিয়া এক হইতে পারিবে তাহাই এক্ষণে সকল আমেরিক-সন্তানের একমাত্র ভাবিবার বিষয়। ঐ যে অনতিদূরে বীকনস্ট্রীটের সুরম্য প্রাসাদ সমূহ দাঁড়াইয়া রহিয়াছে, উহাদের অধিবাসিগণ কি আলাবামা প্রদেশের তুলার জমির চাষাদিগের এবং লুসিয়ানা প্রদেশের ইক্ষুর আবাদের কুলীগণের তপ্ত নিঃশ্বাস অনুভব করিতে পারিতেছেন? যুক্তরাষ্ট্রের স্বদেশ-সেবকগণের এক্ষণে আর কোন কর্ত্তব্য নাই। তাঁহারা আলোচনা করুন—কি উপায়ে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র, অবনত ও পদদলিত নরনারীর ক্রন্দন উন্নত, শিক্ষিত ও ধনবান্ ব্যক্তিগণের কর্ণে পৌঁছিবে?
সেই সমস্যার মীমাংসা করিবার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্রতী হইয়াছেন বুঝিতে পারিতেছি। আমেরিকার সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় আমার ন্যায় কৃষ্ণাঙ্গ, উচ্চ শিক্ষাহীন নিগ্রোকে সম্মান করিয়া এদেশের নিম্নজাতিদিগকে উর্দ্ধে ভুলিবার পথ প্রদর্শন করিলেন। ইহাতে হার্ভার্ড অবনত হইলেন না, অথচ আমাদের দরিদ্রের হৃদয়ে আশার সঞ্চার হইল।
আমি এই ক্ষুদ্র জীবনে আমার অবনত স্বজাতিকে নানা উপায়ে উন্নত করিতে চেষ্টিত হইয়াছি! আমার নগণ্য শক্তির দ্বারা কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গসমাজে ভ্রাতৃভাব বর্দ্ধনেরও যথাসাধ্য চেষ্টা করা গিয়াছে। এত দিন আমার নিকট আমেরিকাজননী যাহা লাভ করিয়াছেন, আজকার এই গৌরবে ভূষিত হইবার পরও আমার সেইরূপ কর্ম্ম ও চিন্তাই আপনারা আশা করিতে পারিবেন।