প্রচার কর্ম্মে ব্রতী আছেন তাঁহারা পরামর্শ করিয়া পর বৎসরের জন্য কর্ত্তব্য স্থির করেন। সুতরাং ইহাকে নিগ্রোসমাজের শিক্ষাসম্মিলন বলা যাইতে পারে। নিগ্রো-মহা-সম্মিলন যে কার্য্য ব্যাপকভাবে ও বৃহৎভাবে করেন কর্ম্মীসমিতি তাহার ‘কার্য্যনির্ব্বাহক’ সভা স্বরূপ হইয়া সেই কার্য্যই কথঞ্চিৎ ক্ষুদ্রতর গণ্ডীর মধ্যে সমাধা করেন। ১৯০০ সালে আমি নিগ্রোজাতির “ব্যবসায়-সম্মিলনে”র প্রবর্ত্তন করিয়াছি। এই সম্মিলনের প্রথম অধিবেশন বোষ্টননগরে অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যে সকল নিগ্রো ব্যবসায়ে ও বাণিজ্যে লিপ্ত আছেন তাঁহারা এই সম্মিলনে সমবেত হইয়া ভাব-বিনিময় করিবার সুযোগ পাইয়া থাকেন। এই বৃহৎ অনুষ্ঠান হইতেই ছোট ছোট “প্রাদেশিক ব্যবসায়-সম্মিলনে”র জন্ম হইয়াছে।
এই গ্রন্থ আমি আমার জন্মভূমি ভার্জ্জিনিয়া প্রদেশের রিচ্মণ্ডে বসিয়া সমাপ্ত করিলাম। আজ ১৯০১ সাল। ৩৫ বৎসর পূর্ব্বে এই রিচ্মণ্ড-নগর গোলামী প্রথার প্রধান কেন্দ্র ছিল। ২৫ বৎসর পূর্ব্বে, আমাদের স্বাধীনতালাভের কয়েক বৎসর পর, এই রিচ্মণ্ড-নগরে আমি প্রথম রাত্রি অনাহারে থাকিয়া রাস্তার পার্শ্বে কাঠের তক্তার নীচে মাটিতে শুইয়া কাটাইয়াছি। আর সেই রিচ্মণ্ডে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ সমাজদ্বয়ের সমবেত শ্রোতৃমণ্ডলীর নিকট আমি গত রাত্রে আমার আশার বাণী প্রচার করিলাম। যে স্থানে ২৫ বৎসর পূর্ব্বে একব্যক্তিও আমাকে একটি আলু