পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

হয় বুঝিল—দাম ঐরূপই হইবে। কিন্তু তাহারও অর্থাভাব। কালবিলম্ব না করিয়া সে অতি নির্লজ্জভাবে বলিয়া ফেলিল—“দেখ বাপু, কাজের কথা বলি, শুন। জামাটা ত আমি এখনই লইতেছি, এবং নগদ দশ পয়সা দিতেছি। বাকী দামটা যখন সুবিধা হয়, দিব।” বলা বাহুল্য আমি নিতান্তই হতাশ হইয়া পড়িলাম।

 কোন মতে হ্যাম্পটন ছাড়িয়া যাইতে পাইলেই আমি নানাস্থানে কাজ খুঁজিয়া লইতে পারিব বিশ্বাস ছিল। কিন্তু হ্যাম্পটন হইতে বাহির হওয়াই অসম্ভব। এদিকে ছাত্র, শিক্ষক সকলেই একে একে চলিয়া গেলেন। আমি একাকী রহিলাম। আমার দুঃখের আর সীমা থাকিল না।

 শেষ পর্য্যন্ত একটা হোটেলে চাকরী পাইলাম। কিন্তু বেতন বড় কম। যাহা হউক লেখা পড়ার সময় অনেক পাইতাম। ফলতঃ গরমের ছুটীটায় আমি বেশ খানিকটা শিখিয়া ফেলিলাম।

 গরমের ছুটির সময়ে আমি বিদ্যালয়ের নিকট ৫০৲ ঋণী ছিলাম। ছুটিতে খাটিয়া টাকা পাইলে ঐ ধার শোধ করিব মনে করিয়াছিলাম। ছুটি ফুরাইয়া আসিল কিন্তু ৫০৲ কোন মতেই জমা হইল না।

 একদিন হোটেলের একটা কামরায় টেবিলের নীচে ৩০৲ টাকার একখানা ‘নোট’ কুড়াইয়া পাইলাম। আমি হোটেলের কর্ত্তার নিকট উহা লইয়া গেলাম। ভাবিয়াছিলাম কিছু অন্ততঃ পাওয়া যাইবে। কিন্তু তিনি বলিলেন “ওখানে আমিই বসিয়া