পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

খাটিতে শিখিতাম। কোন বিষয়ে পরের অধীন থাকিব না, নিজের সকল অভাব নিজেই মোচন করিয়া লইব—এই আদর্শেই আমরা শারীরিক পরিশ্রমকে আদর করিতে শিখিয়াছিলাম। ফলতঃ খাটিয়া খাওয়া এবং শিক্ষালাভে কোন বিরোধ নাই—এই জ্ঞান আমার হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়া গেল।

 (৩) তৃতীয়তঃ স্বার্থত্যাগ ও পরোপকারের শিক্ষা আমি হ্যাম্পটনেই প্রথম পাই। ওখানেই শিখি, যাঁহারা নিজ উন্নতির আকাঙ্ক্ষা খর্ব্ব করিয়া অপরের উন্নতির পথ পরিষ্কার করিবার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন সংসারে একমাত্র তাঁহারাই সুখী। পরোপকার ও লোকসেবা করিতে পারাই মানব জীবনের একমাত্র সুখ।

 আমি হ্যাম্পটনের গ্রাজুয়েট হইলাম সার্টিফিকেটও পাইলাম। ইতিমধ্যে পয়সা ফুরাইয়া আসিয়াছে। একটা হোটেলে চাকরী সংগ্রহ করিলাম। কলেষ্টিকাট প্রদেশের একজনের নিকট কিছু ধার করিয়া পথ খরচের ব্যবস্থা করা গেল। যথা সময়ে সেই চাকরী স্থলে উপস্থিত হইলাম।

 আমার বিদ্যা বুদ্ধি দেখিয়া হোটেলের কর্ত্তা আমাকে পরিবেষণের ভার দিয়াছিলেন, কিন্তু ও বিষয়ে আমার কিছুমাত্র জ্ঞান ছিল না। কয়েকজন বড়লোক টেবিলে খাইতে বসিয়াছেন। আমি পরিবেষণের নিয়ম জানি না দেখিয়া তাঁহারা আমাকে মারিতে উঠিলেন। আমি ভয়ে কাজ ছাড়িয়া দিলাম। তাঁহারা খাদ্যদ্রব্য আর পাইলেন না। এই ঘটনার পর আমাকে নিম্ন