পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

অনেক কাজ করিয়া দিতাম। এই সকল কাজের উপকারিতাও বুঝাইয়া দিতাম। নিগ্রো-পল্লীতে এই উপায়ে স্বাস্থ্যরক্ষার এবং শরীর পালনের সরল উপায় গুলি সহজেই প্রচারিত হইতে লাগিল। স্নান করা ও দাঁত মাজার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে আমি সর্ব্বদাই বক্তৃতা করিতাম। যে দিন হইতে নিগ্রোরা দাঁত মাজা আরম্ভ করিল সেই দিন হইতে তাহারা যথার্থ সভ্যতার প্রথম স্তরে পদার্পণ করিল বলিতে পারি।

 গ্রামের অনেক লোকেই স্ত্রী-পুরুষ সকলেই লেখা পড়া শিখিতে চাহিল। কিন্তু তাহারা দিবা ভাগে খাটিয়া অন্ন সংস্থান করে। কাজেই তাহাদের জন্য নৈশ বিদ্যালয় খুলিলাম। প্রথম হইতেই নৈশ বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা খুব বেশী হইত। ৫০ বৎসরের বেশী বয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রীলোকদিগের শিখিবার অধ্যবসায় দেখিয়া আশ্চর্য্য হইতাম।

 পল্লীসেবার অন্যান্য অনুষ্ঠানও আমি এই সঙ্গে আরম্ভ করিলাম। গ্রামের মধ্যে একটা গ্রন্থশালা এবং একটা আলোচনাসমিতি প্রতিষ্ঠিত করিলাম। রবিবারের জন্য কয়েকটা নূতন কাজ নির্দ্দিষ্ট করিয়া রাখিয়া ছিলাম। ম্যালডেন-নগরে একটা রবিবারের বিদ্যালয় ছিল—এবং এখান হইতে তিন মাইল দূরে আর একটা রবিবারের বিদ্যালয় ছিল। প্রতি রবিবারে এই দুইটি স্কুলেই আমি পড়াইতাম। এতদ্ব্যতীত, আমি কয়েকজন যুবককে ঘরে পড়াইয়া হ্যাম্পটনে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিতেছিলাম এই সকল কার্য্যের জন্য অবশ্য বিদ্যালয়ের তহবিল হইতে সামান্য কিছু