পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

জাগিয়াছে তাহারা নূতন চোখে পৃথিবী দেখিতে আরম্ভ করিয়াছে। তাহাদের চিত্তে প্রথম হইতেই দুইটি ইচ্ছা স্থায়ী ঘর করিয়া বসিল। প্রথমতঃ গ্রীক ও ল্যাটিন শিখিবার জন্য তাহারা অত্যধিক লালায়িত হইল। দ্বিতীয়তঃ লেখাপড়া শিখিয়া সরকারের চাকরী পাইবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিল।

 বলাই বাহুল্য, যুগযুগান্তর ধরিয়া যাহারা গোলামী করিয়াছে তাহাদের পক্ষে বিদ্যালাভের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝা সহজ নয়। দক্ষিণ অঞ্চলের প্রত্যেক গ্রামেই অবশ্য অসংখ্য পাঠশালা খোলা হইতে লাগিল। দিবা-বিদ্যালয়, নৈশ-বিদ্যালয়, রবিবারের বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয় ইত্যাদি নানাবিধ বিদ্যালয়ে নিগ্রোসমাজ ভরিয়া গেল। স্কুলগুলি ছাত্র ছাত্রীতে পূর্ণ থাকিত। ৬০।৭০।৮০ বৎসর বয়সের বৃদ্ধেরাও লেখাপড়া শিখিতে ছাড়িল না। শিক্ষা লাভের জন্য এত আগ্রহ দেখিয়া কাহার না আনন্দ হয়? কিন্তু একটা আশ্চর্য্যের কথা এই যে নিগ্রোমাত্রেই ভাবিতে লাগিল যে, আর তাহাদের হাতে পায়ে খাটিতে হইবে না, লেখা পড়া শিখিয়া তাহারা আফিসের কেরাণী অথবা বড় সাহেব হইতে পারিবে। মাথায় তাহাদের আর একটা খেয়াল ঢুকিল যে, গ্রীক ল্যাটিন ভাষায় দুই চারিটা বুকুনি না দিতে পারিলে পণ্ডিত হওয়া যায় না। এই সকল ভাষায় যাহারা কথা বলিতে পারে, তাহারা না জানি কোন্ অপূর্ব্ব জগতের লোক! এমন কি, আমারও এইরূপই অনেক সময়ে মনে হইত।

 লেখা পড়া শিথিয়া আমার স্বজাতিরা কেহ শিক্ষক, কেহ