পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুগ
৮৫

ধর্ম্মপ্রচারক হইতে লাগিলেন। কৃষিকর্ম্ম, শিল্প, ব্যবসায়, পশুপালন ইত্যাদি কার্য্যে মজুরের ন্যায় খাটিতে হয়। সুতরাং যথাসম্ভব সকলেই এই সকল কার্য্য বর্জ্জন করিতে প্রয়াসী হইল। বিদ্যাদানকেই জীবনের ব্রতস্বরূপ গ্রহণ করিতে অবশ্য খুব কম লোকই পারিত। প্রকৃত ভক্তভাবে ধর্ম্মগুরুর দায়িত্ব গ্রহণ করাও অনেকের পক্ষে অসম্ভব ছিল। তাহারা সহজে বিনা পরিশ্রমে বাবুগিরি করিয়া জীবন কাটাইবার জন্যই এই দুই দিকে ঝুঁকিয়া ছিল। যাহারা পণ্ডিতি করিতে চাহিত তাহাদের পেটে অনেক সময়ে তিল মাত্র বিদ্যা থাকিত কি না সন্দেহ। কেহ কেহ কোন উপায়ে নাম সহি করিতে শিখিয়াই মাষ্টারী খুঁজিত। আমার মনে আছে একবার এক ব্যক্তি একটা পাঠশালার চাকুরী চাহিতেছিল। তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল,, “বল ত পৃথিবীর আকার কিরূপ? তুমি ছেলেদিগকে এ বিষয় কিরূপে বুঝাইবে?” সে তৎক্ষণাৎ উত্তর করিল, “কেন মহাশয়, পৃথিবী গোলাকার বা চ্যাপ্টা এ সব জানিয়া আমার প্রয়োজন কি? স্কুলের কর্ত্তাদের ও সম্বন্ধে যাহা মত আমি তাহাই ছাত্রদিগকে শিখাইতে প্রস্তুত আছি।”

 এই গেল গুরুমহাশয়দিগের অবস্থা। ধর্ম্মপ্রচারকগণের অবস্থা আরও শোচনীয়। অত নিরেট মূর্খ ও কুসংস্কারপূর্ণ এবং চরিত্রহীন লোক বোধ হয় অন্য কোন ব্যবসায়ে দেখা যায় না। যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক সকলেই মনে করিত, “আমি ভগবান কর্ত্তৃক আদিষ্ট হইয়াছি।” ধর্ম্ম প্রচার বিষয়ে ‘আদেশ’