পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাস্কোজীতে পল্পীপৰ্য্যবেক্ষণ Nà RN9 কিন্তু তাহা হইলে কি হয় ? আমরা ভোট দিতে শিখিয়াছি। আমাদের ইচ্ছা তুমিও আমাদের মতানুসারেই ভোট দাও।” আর একজন বলিল, “আমরা কেমন করিয়া ভোট দিয়া থাকি জান ? সাদা চামড়া-ওয়ালারা কি করে আগে দেখি। দূরে দূরে থাকিয়া খবর লই, তাহারা কাহাকে ভোট দিল । যখন আমাদের ভোট দিবার পালা আসে আমরা চোখ কাণ বুজিয়া ঠিক তাহদের উল্টা করি। কি বল, ভায়া, আমরা মন্দ করি কি ?” এই ছিল বিশ বৎসর আগেকার নিগ্রে-রাষ্ট্রনীতি ! আজি আমি আনন্দের সহিত বলিতে পারি যে, এরূপ মনোভাব আমাদের সমাজ হইতে চলিয়া গিয়াছে। আমরা এখন কৰ্ত্তব্য বুঝিয়াই কাজ করিয়া থাকি। শ্বেতাঙ্গ যাহা করে, কৃষ্ণাঙ্গের ঠিক তাহার বিপরীত করা উচিত-এরূপ ভাবনা আমাদের নিগ্রোমহলে অনেকটা কমিয়াছে। ১৮৮১ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি টাস্কোজীতে পৌছি। প্ৰথম মাসেই আমি বিদ্যালয়ের জন্য স্থান বাছিয়া লইলাম এবং আলাবামাপ্রদেশের জেলায় জেলায় ভ্ৰমণ করিলাম। লোক জনের আর্থিক অবস্থা, নৈতিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা সবই তন্ন তন্ন করিয়া বুঝিতে যত্ন লইলাম। সঙ্গে সঙ্গে জেলাগুলির ভিন্ন ভিন্ন পল্লীতে টাস্কোর্জী-বিদ্যালয়ের কথা প্রচার করিয়া বেড়াইলাম। অভিভাবকগণের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করিয়া ছাত্ৰ সংগ্রহেও নিযুক্ত রহিলাম। আমি অধিকাংশ সময়টা পল্লীতে পল্লীতে ভ্ৰমণ করিয়া