পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাস্কোেৰ্জীতে পল্লীপৰ্য্যবেক্ষণ YRGt° জায়গা ছিল না। তবে ঘরের বাহিরে উঠানের কোন স্থানে হাত পা ধুইবার জন্য জল রাখা হইত। রুটি ও শূকরের মাংস প্ৰধান খাদ্য ছিল। রুটি ও ডাল ছাড়া অনেক পরিবারে আর কোন খাদ্য জুটিত না । নিকটবৰ্ত্তী কোন সহরের দোকান হইতে পল্লীবাসীরা বেশী দামে মাংস ও রুটি ইত্যাদি কিনিয়া আনিত । বড়ই আশ্চৰ্য্যের কথা, তাহারা নিজে জমি চষিয়া শাকশাজী ফলমূল ইত্যাদি তৈয়ারী করিয়া লইতে চেষ্টা করিত না। এমন কি? এ বিষয়ে তাহদের কোন ধারণাই ছিল। না । দুনিয়ায় যাহা কিনিতে পাওয়া যায় তাহার সমস্তই যে ঘরের সম্মুখবর্তী জমিতে উৎপন্ন করিয়া লওয়া যাইতে পারে, এ কথা তাহারা ভাবিতে পারিত না। সহর হইতে মামুলি ডাল, আটা ও মাংস বেশী পয়সায় কিনিয়া আনিতেও তাহারা প্ৰস্তুত । অথচ অল্প ব্যয়ে সুখে খাইবার পরিবার সুযোগ যে তাহদের বাড়ীতেই রহিয়াছে তাহা এই সকল পল্লীর অধিবাসীরা জানিতই না ! ঘরে তাহারা শস্য যে একেবারে বুনিতই না-জাহা নয়। তাহারা কেবলমাত্ৰ তুলার চাষই করিতে শিখিয়াছিল। এদিকে তাহারা এতই মজিয়াছিল যে, ঘরের দুয়ার পর্য্যন্তঃ তাহাদের তুলার ক্ষেত আসিয়া পৌঁছিত। তথাপি দুই চারি হাত জমি স্বতন্ত্র করিয়া দৈনিক আহারের জন্য ফসল তৈয়ারী করিতে তাহারা যত্ন লাইত না । দুঃখের কথা আর কি বলিব ? এই সকল দরিদ্রের কুটীরে অনেক স্থলে আমি মহামূল্য শেলাইয়ের কলও দেখিয়াছি। প্ৰায়