পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থচিন্তা ও বিনিদ্র যামিনী S8S লইয়া যাইতাম । ইহাতেও তাহারা বিদ্যালয়কে নিজের জিনিষ বলিয়া আদর করিতে অভ্যস্ত হইত। জমির দাম শোধ করিবার জন্য তাহাদিগকেই চেষ্টা করিতে হইবে ইহা জানিবা মাত্র তাহারা বিদ্যালয়ের জন্য নুতনভাবে আত্মীয়তার সম্বন্ধ পোষণ করিতে লাগিল। সাদা কাল চামড়ার ভেদ ভুলিয়া যাইয়া সকলেই বিদ্যালয়কে সমস্ত টাস্কোজীর যৌথ প্ৰতিষ্ঠানরূপে ভাবিতে থাকিল। শ্বেতাঙ্গাদিগের মধ্যে আজ টাস্কোজীর অনেক বন্ধু রহিয়াছেন । আমি প্রথম হইতেই ইহঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্বন্ধ রক্ষণ করিয়া আসিয়াছি। দক্ষিণ প্ৰান্তের নিগ্রেগণকেও আমি এই বন্ধুত্বের সম্বন্ধে শ্বেতাঙ্গাদিগের সঙ্গে ব্যবহার করিতে চিরকাল উপদেশ দিয়াছি । আমরা টাকা তুলিতে লাগিলাম। মেলা, প্রদর্শনী, মুষ্টিভিক্ষণ, চাদ ইত্যাদি নানা উপায়ে আমরা তিন মাসের মধ্যেই মার্শ্যালের ৭৫০২ দেনা শোধ করিলাম। তার পর দুই মাসের ভিতর অবশিষ্ট ৭৫০২ জোগাড় করিয়া জমির মালিককে দিয়া ফেলিলাম। জমিটা সম্পূর্ণরূপেই আমাদের সম্পত্তি হইয়া গেল। সুখের কথা এই সমস্ত টাকাই টাস্কোজী নগরের শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ লোকদের নিকট হইতেই উঠিয়াছিল । এখন আমরা জমি চাষিবার সুব্যবস্থা করিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ত্ৰিবিধ। প্রথমতঃ, এই চাষবাস করিলে বিষ্ঠালয়ের জন্য কিছু লাভ হইবে। দ্বিতীয়তঃ, ছাত্রের ক্ষেতে কাজ করিয়া কৃষিকৰ্ম্মে অভিজ্ঞতা লাভ করিবে। তৃতীয়তঃ, আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক খাওয়ার সুখও বেশ হুইবে ।