পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/১৬০

Yète নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর আমরা সব কাজই এক সঙ্গে আরম্ভ করিতাম না। ভাল কাজ হইলেও তাহ যখন তখন আমাদের কৰ্ম্মকেন্দ্ৰে প্ৰবৰ্ত্তন করিতে চেষ্টিত হইতাম না। আমাদের যখন ফেরাপ অভাব হইত। তখন ঠিক সেইরূপ ব্যবস্থাই করিতাম। আমাদের সর্বপ্রথম অভাব হইয়াছিল—বিদ্যালয়ের ছাত্ৰদ্বিগের জন্য ভাল শাক শাজীর। এইজন্য সর্বপ্রথমেই আমরা চাষে লাগিয়া গেলাম। ক্ৰমশঃ দেখিতে পাইলাম, আমাদের ছাত্রেরা এতই দরিদ্র যে বৎসরে তিন মাসের বেশী পয়সা খরচ করিয়া স্কুলে থাকিবার ক্ষমতা তাহদের নাই। তাহদের অন্যান্য মাসের খরচ চালাইবার জন্য আমাদের নূতন ব্যবস্থা করিবার প্রয়োজন হইল। এজন্যও চাষের ব্যবস্থা ভাল করিয়াই করা গেল । সঙ্গে সঙ্গে সূত্রধরের কাৰ্য্য, কৰ্ম্মকারের কাৰ্য ইত্যাদি নানাবিধ শিল্প-কৰ্ম্ম খুলিবার আয়োজন করিতে লাগিলাম । আমাদের টাস্কোজীতে একটা কাণ ঘোড়া লইয়া পশু পালন আরম্ভ হয়। ঘোড়াটা একজন শ্বেতাঙ্গ? আমাদিগকে দান করিয়া ছিলেন। আজকাল আমাদের বিদ্যালয়ের পশুশালায় ২০০ ঘোড়া, খচ্চর, গরু, বাছুর, বলদ ইত্যাদি। ৭০০ শূকর এবং কতকগুলি মেষ ও ছাগল রহিয়াছে । ছাত্ৰসংখ্যা বাড়িয়াই চলিল। পুরাতন বাড়ীতে আর কোন মতেই কাজ চলে না। তখন একটা নূতন গৃহ নিৰ্ম্মাণের প্রস্তাব করিলাম। প্রায় ২০,০০০ টাকার আনুমানিক ব্যয়ে এই গৃহ নিৰ্ম্মিত হুইবে হিসাব করিয়া দেখিলাম। এত টাকা আমাদের