পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`) (obo নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর সকল প্রকার গৃহস্থালী, কৃষি ও শিল্পকৰ্ম্মে অভ্যন্ত হাহতে থাকিলে ছাত্রেরা বেশ পাকা মানুষ হইয়া উঠিতে পারে। নানাবিধ কারিগরি এবং শিল্পিমহলের নূতন ; নূতন আবিষ্কারগুলি তাহাদের হাতে কলমে শিক্ষণ হইয়া যায়। অধিকন্তু তাহারা শারীরিক পরিশ্রমের ফলে স্বাস্থ্য অর্জন করে ও কৰ্ম্মঠ হইতে থাকে ; এবং নৈতিক চরিত্র বিষয়েও যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে। খাটিয়া খাওয়া নিন্দনীয় কাজ নয়। লেখা পড়া শিখিলেই ‘বাবু হইয়া যাইতে হয় না। শিক্ষিত লোকদেরও স্বহস্তেই চাষ করা উচিত এবং নিজের ঘর বাড়ী নিজেই প্ৰস্তুত করিতে চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য। এক কথায়, সকলেরই নিজ অভারগুলি যথাসম্ভব নিজেই মোচন করিয়া লওয়া উচিত। খাওয়া দাওয়া, চলা ফেরা ইত্যাদি কোন বিষয়েই পরের উপর নির্ভর করা শিক্ষিত ও সভ্য লোকের লক্ষণ নয়। এই সকল ধারণা আমার শিক্ষাপ্রণালী অনুসারে ছাত্রদের মাথায় সহজেই বসিতে পারে। } শারীরিক পরিশ্রম এবং স্বাবলম্বন এই দুইটি গুণই আমি প্রকৃত শিক্ষালাভের চিহ্ন মনে করি। যথার্থ শিক্ষিত ব্যক্তি শারীরিক পরিশ্রমকে কখনই অগ্ৰাহা করিতে পারেন না। নিজে “খাটিলে অনেক বিষয়ে খরচ কম হয়—তোহা সকলেরই জানা আছে। শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রেই তাহাও বুঝেন। কিন্তু একমাত্র এই জন্যই তঁাহারা শারীরিক পরিশ্রমের আদর করেন না। ভঁাহারা খাটিয়া খাওয়াকেই জীবনের প্রধান লক্ষ্য ও ধৰ্ম্মের মধ্যে ‘গণ্য করেন। পরিশ্রমের অন্য কোন মূলগ্ন থাকুক বা না থাকুক,