পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার টাকা আসে কোথা হ’তে ? ଧବିତତ অর্থসংগ্ৰহকাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকিলে পরোক্ষভাবে একটা মস্ত লাভ হয়। সাংসারিক জ্ঞান খুব বাড়িয়া যায়-লোকচরিত্র বুঝিতে পারা যায়। অনেক লোকের সংশ্রবে। আসিতে হয়নানা কথা বুঝা যায়-নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা জন্মে। তাহা ছাড়া জগতের অনেক গুপ্ত মহাপুরুষ এবং চরিত্রবান নরনারীর সাক্ষাৎ লাভ হয়। র্যাহাঁদের নাম। খবরের কাগজে উঠে না। অথচ যাহারা পরহিত করিতে পারিলেই সুখী হন। এরূপ অনেক মহাত্মমর পরিচয় পাওয়া যায়। এই সকল লোকের সঙ্গে দুদণ্ড কথা বলিতে পারাও মহা সৌভাগ্যের বিষয়। আমি এরূপ দাতা ব্যক্তির সংশ্রবে। আসিয়া বহুবার জীবন ধন্য করিয়াছি । আমি বোষ্টন-নগরের দুই একটি ঘটনা উল্লেখ করিতেছি । এক বাড়ীতে গৃহস্বামী বাহিরে গিয়াছিলেন। তঁহার পত্নীর নিকট আমার সংবাদ পাঠান হইল । ইতিমধ্যে স্বামী আসিয়া উপস্থিত । আমাকে দেখিয়াই বিরক্তভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি চাই ?” আমি আমার উদ্দেশ্য বুঝাইতে গেলাম। তিনি আরও ক্ষেপিয়া উঠিলেন । আমি আস্তে আস্তে সরিয়া পড়িলাম। এই বাড়ীর নিকটেই আর একজন ভদ্রলোকের কাছে গেলাম। আমার কথা শুনিবা মাত্রই তিনি বেশ মোটা টাকার জন্য চেক সহি করিয়া দিলেন। আমি তাঁহাকে ধন্যবাদদিবারও অবসর পাইলাম ୩ ! རྩྭའི་ বলিতে লাগিলেন, “আপনি আমাদেরই কাৰ্য্য করিতেছেন। মহাশয়, আপনাকে সাহায্য করিবার সুযোগ পাইয়া আমি কৃতাৰ্থ হইলাম।”