পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০০০ মাইল দূরে ৫ মিনিটের বক্তৃতা R>N) বিদ্যালয়ে থাকিবার পর তাহাদিগকে দিবা।বিদ্যালয়ে ভিত্তি করা যাইত। তখন তাহাদিগের পুজি টাকা হইতে খাওয়া খরচ চলিত। এই প্ৰণালীতে নৈশবিদ্যালয়ের কাৰ্য্য গত ১ ৫ বৎসর চলিয়াছে । আজি ইহার ছাত্রসংখ্যা ৪৫৭ ৷৷ আমি নৈশবিদ্যালয়ের খুব পক্ষপাতী। কারণ ইহার নিয়মে ছাত্রের অগ্নি-পরীক্ষা হইয়া যায় । বিদ্যাশিক্ষার জন্য আন্তরিক আকাঙক্ষণ না থাকিলে কেহ এত হাড়ভাঙ্গ পরিশ্রম করিয়া এইরূপে জীবন চালাইতে, পারে না । দিবা-বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি হইবার পরও এই ছাত্ৰাদিগকে কোন ব্যবসায়ে লাগাইয়া রাখিতাম । সপ্তাহে অন্ততঃ দুই দিন তাহদিগকে কাজ করিতে হইত। সপ্তাহের অপর ৪ দিন তাহার। সাধারণ ছাত্রের ন্যায় লেখাপড়া শিখিত । তাহা ছাড়া গরমের ছুটির সময়ে তিনমাস পুরাপুরি তাহাদিগকে খাটিতে হইত। এইরূপে নৈশবিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া এবং পরে দিবাবিদ্যালয়ের শিক্ষা পাইয়া অনেক নিগ্রে পুরুষ ও রমণী মানুষ হইয়া গিয়াছে। আজ নিগ্রোসমাজে বহু লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ শিল্পী ও ব্যবসায়ী দেখিতে পাই। তঁহাদের অনেকেই এই নৈশবিদ্যালয়ের অগ্নি-পরীক্ষার ভিতর দিয়া জীবন আরম্ভ করিয়াছেন । আমাদের নৈশবিদ্যালয়ে জীবন যাপন করিলে কেহই ভবিষ্যতে কৰ্ম্মঠ চাষী বা কারিগর না হইয়া যায় না । কৃষি-শিল্প ব্যবসায়ের কথা এত বলিতেছি। কেহ যেন না। ভাবেন যে আমরা আধ্যাত্মিক বিষয়ে নিতান্ত অমনোযোগী ॥