পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোলামানাদের আবৃহাওয়া R ভৌতিক শরীরেরই মুক্তি-অন্নবস্ত্ৰ, চলা-ফেরা ইত্যাদি সকল স্মিয়ের বন্ধনহীনতা । সেই মহা আনন্দের দিনের পূর্ব রাত্রে গোলামখানার মহলে মহলে সংবাদ পাঠান হইল “কাল সকালে প্ৰভুদের বড় কুঠিতে “ একটা বিশেষ সম্মিলন হইবে । তোমরা সকলেই উপস্থিত হইও * সেই রাত্রে আমাদের আর ঘুম হইল না। সকালে উঠিয়াই আমরা প্রভুর গৃহে সমবেত হইলাম। দেখিলাম মনিব-পরিবারের সকলেই বারান্দায় দাড়াইয়া বা বসিয়া আছেন। সকলকেই যেন কিছু চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন দেখিলাম-কিন্তু কাহাকেও বিশেষ দুঃখিত বলিয়া বোধ হইল না । বরং মনে হইতে লাগিল যে তাহার { আর্থিক ক্ষতির জন্য বেশী চিন্তা করিতেছেন না-ৰ্তাহারা যে এতদিনের সঙ্গী ও আত্মীয়গণকে একদিনে বিদায়ু দিবেন। সেই দুঃখেই তাঁহাদের চিত্ত ভরিয়া রহিয়াছে। আর দেখিলাম একজন নূতন পুরুষকে, ইনি বোধ হয় যুক্তরাজ্যের কোন কৰ্ম্মচারী। তিনি একটা লম্বা কাগজ হাতে করিয়া একটা ক্ষুদ্র বক্তৃতা করিলেন। তার পর সেই কাগজ হইতে পাঠ করিলেন—স্বাধীনতার ঘোষণা । ཤཱ পড়া শেষ হইয়া গেল, আমাদিগকে বলা হইল যে আমরা স্বাধীন হইয়াছি। যাহার যেখানে ইচ্ছা যাইতে পারি। এখন হইতে যাহার যে কাজ ভাল লাগে। সে সেই কাজই করিতে পারে। আমার মাতা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁহার চক্ষু ইইতে আনন্দাশ্রঞ্চ করিতে লাগিল । তার পর তিনি বলিলেন যে,