পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৫২

8R নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর আমি অতীতের ঘটনাবলী পৰ্যবেক্ষণ করিয়া বুঝিতেছি, মান, মৰ্যাদা, কীৰ্ত্তি, প্ৰতিষ্ঠা ইত্যাদি মনুষ্যত্বের সত্য মাপকাঠি নয়। কোন লোক জুগতে বিখ্যাত হুইলেই সে কৃতকাৰ্য্যতা লাভ করিল, আমি তাহা স্বীকার করি না, অথবা তাহার সাধনা সিদ্ধি প্ৰাপ্ত হইল—আমি এরূপ ভাবি না। আমি সফলতা অন্য প্ৰণালীতে মাপিতে শিখিয়াছি। আমি কৃতকাৰ্য্যতার মূল্যস্বরূপ সাংসারিক যশোলাভ দেখিতে চাহি না । আমার মতে সেই ব্যক্তিই যথার্থ সফল যে অসংখ্য বাধা-বিপত্তি, বিস্ত্ৰ-দুৰ্দৈবের সঙ্গে সংগ্ৰাম করিয়াছে। কাৰ্য্য উদ্ধার করিতে যাইয়া কোন ব্যক্তি যদি বিফল হয় তাহাতে আমি দুঃখিত হই না । তাহার প্ৰয়াস, তাহার সাধনা, তাহার দৃঢ়তা, তাহার কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা ইত্যাদির পরিচয় পাইলেই আমি তাহাকে কৃতকাৰ্য্য, সফল ও সার্থকতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলিব । হয়ত সে জগতে যশস্বী হইল না-হয়ত তাহার নাম সর্বত্ৰ প্ৰচারিত হইল না-হয়ত ভবিষ্যসমাজে তাহার কোন স্মৃতি থাকিবে না । তথাপি সে কৃতকাৰ্য্য, কারণ সে দুঃখের সঙ্গে লড়াই করিয়াছে, দারিদ্র্যের বোঝা মাথায় বহিয়াছে-নৈরাশ্যের ভীতিকেই জীবনের একমাত্ৰ সহায় করিয়া কঠোর কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছে। ইহাই আমার মতে মনুষ্যত্বের কষ্টিপাথর-সফলতার মাপকাঠি । এই দিক হইতে বিচার করিয়া দেখি নিগ্ৰেজাতির মধ্যে জন্মিয়া আমার উপকারই হইয়াছে। আমি প্রকৃত জীবন-সংগ্রাম দেখিয়াছি-যথার্থ জীবনের তুঙ্গাস্বাদ পাইয়াছি। নিগ্রোজীিবনের