পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যার্জনে কঠিন প্ৰয়াস 8& ংগ্ৰহ করিয়া তাহাতে সাজাইয়া রাখিলাম । উহাই আমার প্ৰথম লাইব্রেরী বা “গ্রন্থশালা ৷” সুতরাং রাফ নারী-পরিবারে আমার দিন সুখেই কাটিতে লাগিল। আমি কিন্তু হ্যাম্পটনকে ভুলি নাই। আমার মাতা অতৃদুরে কোন অজানা স্থানে যাইব শুনিয়া ভাবিয়া আকুল হইলেন । শেষ পৰ্য্যন্ত যাওয়াই স্থির হইল । হাতে এক পয়সাও নাই। এত দিন আমি ও আমার দাদা যাহা কিছু রোজগার করিয়াছি, সবই গৃহস্থালীতে খরচ হইয়া গিয়াছে—এবং আমার অভিভাবক উড়াইয়াছেন। যাহা হউক, কোন উপায়ে যাইবই যাইব । ভগবান সহায় হইলেন। দেখিলাম আমার পল্লীর নিগ্রোর এই সংবাদে সকলেই আন্তরিক সুখী । তঁাহারা আমাকে আশীৰ্বাদ করিতে লাগিলেন “নিগ্ৰেজাতির মুখ উজ্জ্বল কর।” তাহাদের আনন্দের বিশেষ কারণ ছিল । তাহদের চির জীবন গোলামীতে কাটিয়াছে। কখন সুদিন আসিবে ইহা তঁহারা স্বপ্নেও ভাবিতে পারেন নাই। অথচ কেহ বৃদ্ধ বয়সে কেহ বা প্ৰবীণ বয়সে একে একে নবযুগের নূতন নূতন লক্ষণগুলি দেখিতে পাইলেন। তঁাহারা স্বাধীনতা পাইয়াছেন-তাঁহাদের গ্রামেএকটা জাতীয় বিদ্যালয় পৰ্য্যন্ত খোলা হইয়াছে । কেবল তাহাই নহে, আজ তঁহাদের এক সন্তান ঘর বাড়ী ছাড়িয়া একটা মহাবিদ্যালয়ে লেখাপড়া শিখিতে চলিল। আজ গ্রামের এক শিশু পরিবারের স্নেহ হইতে দুৱে থাকিয়া একটা উচ্চশ্রেণীর 8