পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GO নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর পাঠশালায় বিদ্যাৰ্জন করিতে প্ৰয়াসী। তঁহদের পক্ষে ইহা একটা সত্যযুগ বৈ কি ? কাজেই কেহ আমাঝে একটা রুমাল, কেহ বা একটা বড়বল পয়সা, ইত্যাদি উপহার দিতে লাগিলেন । আমি যাত্ৰা করিলাম। মাতাকে অত্যন্ত অসুস্থ ও রুগ্ন। অবস্থায় দেখিয়াই যাইতে হইল । সঙ্গে একটা থলে । তাঙ্গার মধ্যে কাপড় চোপড় ভরিয়া লইলাম। তখন ওয়েষ্ট ভাৰ্জিনিয়া হইতে ভাজ্জিনিয়ায় যাইবার রাস্তায় খানিকটা রেলপথ ছিল । অবশিষ্ট রাস্তা ভাড়াগাড়ী করিয়া যাইতে হয় । ম্যালড়েন হইতে হ্যাম্পটন ৫০০ মাইল। অতদূর যাইবার পথ-খরচ আমার নাই । একদিন পাহাড়ের রাস্তায় ভাড়াগাড়িতে করিয়া যাইতেছিলাম। সন্ধ্যার পর গাড়ী একটা সাদা বাড়ীর নিকট থামিল। বুঝিলাম এটা হোটেল, আমার সহযাত্রীরা সকলেই শ্বেতকায়, আমিই একমাত্ৰ কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্ৰো । তাহারা সকলেই একে একে নামিয়া এক একটা কামরা দখল করিয়া বসিলেন । হোটেলের কার্ড তাহদের জন্য আয়োজন করিতে লাগিলেন । তাহদের আহারের ব্যবস্থা হইতেছে এমন সময়ে ভয়ে ভয়ে আমি হোটেলের কীৰ্ত্তার নিকট উপস্থিত হইলাম । -আমার হাতে এক আধূলাও ছিল না। ভাবিয়াছিলাম গৃহস্বামীর নিকট ভিক্ষা করিয়া রাত কাটাইয়া দিব। সেই সময়ে ভার্ভিজনিয়ার পাৰ্বত্য প্রদেশে হাড়ভাঙ্গা শীত । ভাবিয়াছিলাম নিশ্চয়ই হোটেলের এক কোণে আশ্রয় পাইব । কিন্তু আমার কাল চামড়া দেখিবা মাত্ৰই আমার ; প্রতি কঠোর আদেশ হইয়া