পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যার্জনে কঠিন প্ৰয়াস (RNS) হইলাম। যে মূল্য পাইতাম তাহা দিয়া দৈনিক আহারের খরচ চলিত-কিন্তু ঘরভাড়া কুলাইত না। কাজেই অল্প খাইয়া থাকিতাম-এবং রাত্রে আসিয়া সেই কাঠের তলায় মাটির উপরে শুইয়া থাকিতাম। এই উপায়ে কিছু পয়সা বঁচিল । তাহার দ্বারা রিচমণ্ড হইতে হ্যাম্পটনে যাইবার খরচ সংগ্ৰহ করিলাম। এই ঘটনার বহুকাল পরে রিচমণ্ডের নিগ্রো-আধিবাসিগণ আমাকে নিমন্ত্রণ করিয়া সম্বৰ্দ্ধনা করিয়াছে । সম্বৰ্দ্ধন-উৎসবে অন্ততঃ দুই হাজার কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ ও রমণী যোগদান করিয়াছিল। ঘটনাচক্ৰে সেই কাঠের তক্তার সমীপবৰ্ত্তী এক গৃহে এই অভ্যর্থনা ও সাদারসম্ভাষণাদি নিম্পন্ন হয় । সকলে অতি আন্তরিকতার সাহিতই আমাকে অভিবাদন করিলেন । কিন্তু এই আনন্দের দিনে আমি সস্বৰ্দ্ধনা অভিবাদন প্ৰভৃতিতে একেবারেই যোগ দিতে পারি নাই । আমি আমার রিচমণ্ডে প্ৰথম পদাপণের কথাই মনে করিতেছিলাম । সেই রাজনীর অভিজ্ঞতাই আমার চিত্তে কন্যান্য সকল চিন্তার স্থান অধিকার করিয়া বসিয়াছিল । আমি সেই রাস্তার পাশ্বের কাঠের তক্ত এক মুহূৰ্ত্তের জন্যও ভুলিয়া থাকিতে °ांड्रिव्लांभ न । কাপ্তেন মহাশয়কে যথেষ্ট ধন্যবাদ দিয়া আমি আমার তীর্থযাত্রায় আবার বাহির হইলাম। হ্যাম্পটনে পৌছবার পথে এবার কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে নাই, পৌঁছিবার সময় হাতে ১৭/০ পুজি থাকিল । বিদ্যামন্দিরের বহির্ভাগ দেখিয়াই আমি রোমাঞ্চিত হইলাম।