পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6. নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর মৃত্যুকাল পৰ্যন্ত র্তাহাকে আমি আত্মীয় বিবেচনা করিবার সুযোগ পাইয়াছি । ক্রমশই তিনি আমার জ্ঞানে মহৎ কুইতে মহত্তররূপে অধিকতর শ্রদ্ধা, ভক্তি ও পূজার পাত্ৰ হইয়াছিলেন। যতই আমার বয়স বাড়িতেছে, ততই আমি বিবেচনা করিতেছি যে, “মানুষ’ গড়িবার জন্য গ্ৰন্থপাঠের ব্যবস্থা করিবার আবশ্যকতা বেশী নাই । পুথি-কেতাব, খাতা-পত্ৰ, লাইব্রেরী, কল-কব্জা, ল্যাবরেটরী ইত্যাদি সাজ-সরঞ্জাম-এ সব হইতে ছাত্রেরা বেশী কিছু শিখিতে পায় না। এই নিজৰ্জীব পদার্থগুলি মানুষের মনুষ্যত্ব গজাইয়া দিতে, বিশেষ সমর্থ নয়। আমি হ্যাম্পটনে থাকিবার কালে ভাবিতাম যে, এই বিদ্যালয় হইতে বাড়ী-ঘর, হাতিয়ার-যন্ত্র, খাতা-পত্ৰ, ইট-কাঠ, বেঞ্চ-টেবিল, ইত্যাদি সবই যদি সরাইয়া লওয়া হয়, তাহা হইলেও বিদ্যালয়ের কিছুমাত্ৰ অঙ্গহানি হইবে না । কারণ এই বিদ্যালয়ের প্রাণদাতা, এই বিদ্যালয়ের প্রাণ-প্ৰতিষ্ঠাতা, এই বিদ্যালয়ের পিতা স্বরূপ পরিচালক আৰ্মষ্ট্রঙ্গ মহোদয় একাকীই এই সমুদয় সাজ-সরঞ্জাম অপেক্ষা মূল্যবান। তাহার নিকট নিগ্রো-বালকের একবার করিয়া রোজ আসিতে পারিলেই তাহদের সর্বোচ্চ শিক্ষালাভের সুফল ফলিবে । আজও আমি সেই কথা বলিতেছি, প্ৰকৃত চরিত্রবান সমাজসেবক শিক্ষা প্রচারকের সঙ্গে সহবাস করিতে পাইলে যতখানি চরিত্র গঠিত হয়, মনের তেজ বাড়িতে থাকে, চিত্তের শক্তি বিকশিত হয়, কৰ্ম্মক্ষমতার উন্মেষ হয়, সৌজন্যশিষ্টাচার অভিজ্জত হয়, অন্য কোন উপায়ে তাহা হইতে পারে না।