পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হ্যাম্পটনে জীবন গঠন \సా কাজ করি।-সুতরাং উহা আমারই প্ৰাপ্য।” এই বলিয়া তিনি ৩০২ টাকার নোট পকেটস্থ করিলেন। আমি কিছু পাইলাম না। এত কষ্টে পড়িলে হতাশ হইবারই কথা । কিন্তু উহা কাহাকে বলে আমি তাহ জানিই না । জীবনের কোন অবস্থাতেই আমি এখন পৰ্য্যন্ত নৈরাশ্য আস্বাদ করি নাই । যখনই যে কাজ ধ্বরিয়াছি, আমার বিশ্বাস থাকিত যে আমি তাঁহাতে কৃতকাৰ্য্য হইবই। সুতরাং র্যাহারা বিফলতার আলোচনা করেন, তঁহাদের সঙ্গে আমার কোন দিনই মতে মিলে না । কৃতকাৰ্য্য কি উপায়ে হওয়া যায় একথা যিনি বুঝাইতে পারেন। আমি তঁহারই ভক্ত। বিফলতা কেন হয়—একথা যিনি বুঝাইতে আসেন আমি তাহার কাছে ঘোঁসি না । ছুটির শেষে বিদ্যালয়ে গেলাম। কর্তৃপক্ষকে বলিলাম-“ধার শোধ করিবার ক্ষমতা এখনও আমার হয় নাই-স্কুলে প্ৰবেশ করিতে পারি কি ?” খাজাঞ্জি ছিলেন সেনাপতি মাৰ্ণ্যাল । তিনি সাহস দিয়া বলিলেন, “তোমাকে এ বৎসর ভৰ্ত্তি করিয়া লইলাম । তুমি একদিন না একদিন আমাদের ঋণ শোধ করিতে পরিবেআমার বিশ্বাস আছে।” দ্বিতীয় বৎসরও পূর্বের ন্যায় আমি খানসামগিরি করিতে করিতে এখানে লেখাপড়া শিখিতে থাকিলাম । হ্যাম্পটন-বিদ্যালয়ে বই পড়ােনও হইত বটে, কিন্তু পুস্তক পাঠ অপেক্ষা অন্যান্য অসংখ্য উপায়েই আমি ওখানে বেশী শিক্ষা লাভ করিয়াছি। দ্বিতীয় বৎসরে আমি শিক্ষকগণের স্বাৰ্থত্যাগ ও