পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৮০

Գo নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর চরিত্রবত্তা দেখিয়া বিশেষ উপকৃত হইয়াছিলাম। তাহারা নিজের কথা না ভাবিয়া কেবল মাত্র পরের কথাই ভাবিতেন। তঁহাদের জাতিমৰ্য্যাদা ছিল, বংশগৌরব ছিল, বিদ্যার সম্মান ছিল ; সমাজে যথেষ্ট প্রতিপত্তিও ছিল। তাহারা ইচ্ছা করিলে নিজের আর্থিক উন্নতি যথেষ্ট করিতে পারিতেন-সংসারে নূতন নূতন যশোলাভের সুযোগও তঁহাদের কম ছিল না । কিন্তু তাহারা সে সকল দিকে দৃষ্টিপাত করিতেন না—আমাদের অবনত কৃষ্ণকায় সমাজকে বিদ্যায়, ধনে ও ধৰ্ম্মে উন্নত করিবার জন্য জীবন সমর্পণ করিয়াছিলেন । এই কৰ্ম্মেই র্তাহাদের একমাত্ৰ সুখ ছিল । দ্বিতীয় বৎসরের বসবাসের ফলে আমি শিখিলাম যে পরোপকারী ব্যক্তিই একমাত্ৰ সুখী। র্যাহারা অন্য লোককে নানা উপায়ে সুখী ও কৰ্ম্মঠ করিয়া তুলিয়াছেন। তঁহাদের অপেক্ষা সুখী লোক সংসারে আর নাই। এই শিক্ষা আমার জীবনে কখনও নষ্ট হইবে না । হ্যাম্পটনে আমি পশুপক্ষী জীবজন্তু ইত্যাদি সম্বন্ধে খুব ভাল রকম জ্ঞান লাভ করি। এখানকার কৃষিবিভাগের জন্য অতি উত্তম জাতির পশুপক্ষী আমদানি করা হইত। ঐ গুলিকে পালন করিবার ব্যবস্থাও অতি উন্নত ধরণের ছিল। এই সকল কাজে আমরা অভ্যস্ত হইতাম--তাহাতে কৃষিকৰ্ম্ম, পশুপালন, জীববিদ্যা, প্ৰাণি-তত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কাৰ্য্যকারী শিক্ষণ হইয়া গিয়াছিল। তাহার ফলে আজ পৰ্য্যন্ত আমি জীবজন্তুর ভাল মন্দ বাছিয়া লইতে সমর্থ। ছেলে বেলা হইতে ভাল ভাল জানোয়ার