পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হ্যাম্পটনে জীবন গঠন ዓዓr ভঁাহার নাম সেনাপতি আৰ্মষ্টঙ্গ। আমি পুনরায় বলিতেছি তিনি আমার চিন্তারাজ্যের “একমেবাদ্বিতীয়ম মহাবীর। তঁহার ন্যায়। সাধুপুরুষ আর আমি দেখি নাই । (২) দ্বিতীয়তঃ, আমি বিদ্যালাভের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে নূতন ধারণ অর্জন করিলাম। লোকে লেখাপড়া শিখে কেন ? পূর্বে নিগ্ৰোসমজৈর সাধারণ লোকজনের কথাবাৰ্ত্তা ও চালচলন দেখিয়া ধারণা জন্মিয়াছিল ষে, শারীরিক পরিশ্রম হইতে মুক্তি পাইবার জন্য বিদ্যা শিক্ষা করিতে হয় । এবং লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ বেশ সুখে স্বচ্ছন্দে বাবুগিরি করিয়া কাল কাটাইতে পারে। হ্যাম্পটনে আমার দিব্যজ্ঞান লাভ হইল । ওখানকার আবহাওয়াতে হাতে পায়ে কাজ করা, খাটিয়া খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম করা ইত্যাদি কাৰ্য প্ৰত্যেক শিক্ষিত লোকের স্বাভাবিক ধৰ্ম্মের মধ্যেই পরিগণিত হইত। নিষ্কৰ্ম্ম মানুষ কাহাকে বলে সেই বিদ্যালয়ের চতুঃসীমার মধ্যে জানিতে পারিতাম না। ছাত্র, শিক্ষক সকলেই পরিশ্রম করিতে ভাল বাসিতেন এবং পরিশ্রমীলোককে সম্মান করিতেন । পরিশ্রম না করাটাই সেখানে একটা নিন্দনীয় ও গৰ্হিত কাৰ্য ছিল এবং অশিক্ষিত লোকের লক্ষণ বিবেচিত হইত। কাজকৰ্ম্ম করিলে পয়সা পাওয়া যায়, অন্নের ব্যবস্থা হয়, আর্থিক দৈস্য ঘুচে, সংসার পালন নিরুদ্বেগে করা যায়। এ সকল কথা আমাদের ওখানে সকলেই বুঝিত। এই বুঝিয়া আমরা খাটতম-সন্দেহ নাই। কেবল তাঁহাই নহে, আমরা স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভর হইবার জন্যই এখানে নিজে