পাতা:নিগ্রো জাতির কর্মবীর - বিনয়কুমার সরকার.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፲፱'ላSÖ নিগ্ৰেজাতির কৰ্ম্মবীর বহু লোকেই পাইতে লাগিল! দুই তিন দিন স্কুল, অ ধার* দেখিতাম ছাত্রেরা চলিয়া যাইতেছে। অনুসন্ধান করলে বুঝা ষাইত—তাহারা ‘আদেশ পাইয়া ধৰ্ম্মগুরুর কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইয়াছে। এই ‘আদেশ’’ পাওয়া ব্যাপারটা বড়ই রহস্যজনক। গির্জাঘরে লোকজন বসিয়া আছে এমন সময়ে একব্যক্তি হঠাৎ মেজের উপর পড়িয়া যাইত। বহুক্ষণ নিষ্পন্দ অসাড়া ও “ধ্বাকশক্তিহীন অবস্থায় থাকিত। অমনি পাড়ায় সাড়া পড়িয়া যাইত, অমুক ব্যক্তির আদেশ’ হইয়াছে। তাহার পর হইতেই সে ধৰ্ম্মগুরু! এইরূপ ‘দশায়” পড়া প্ৰায় প্ৰত্যেক নিগ্ৰোপল্লীতে প্ৰতি সপ্তাহেই দুই চারিটা ঘটিত। আমি এই “দশায় পড়া ব্যাপারটাকে বুজরুকি মনে করিতাম। আমার ভয় হইত পাছে আমিও বা কোন দিন দশায় পড়িয়া ভগবানের আদেশ পাইয়া বসি। আমার সৌভাগ্য আমি সেরূপ আদেশ পাইবার অবস্থা কাটাইয়। ਹੋ | সমাজে ধৰ্ম্মগুরুর সংখ্যা যারপরনাই; বাড়িতে থাকিল। একটা ধৰ্ম্মমন্দিরের কথা আমার মনে আছে—তাহার অন্তর্গত খৃষ্ট । ধৰ্ম্মাবলম্বী লোক সংখ্যাই ছিল সর্বসমেত ২০০ জন মাত্র। অথচ তাহার ধৰ্ম্মপ্রচারক সংখ্যাই প্ৰায় ২০ । আজকাল নিগ্রোসমাজে ধৰ্ম্মের অবস্থা অনেকটা উন্নত হইয়াছে। দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষ্ণাঙ্গ জাতি যথেষ্ট নৈতিক শক্তি লাভ করিতেছে। “দশায় পড়া এবং ‘আদেশ’’ পাওয়ার হুজুগ অনেক কমিয়া আসিয়াছে। আর ৩০॥৪০ বৎসর পরে আমাদের আরও উন্নতি হইবে আশা করিতেছি।