পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭২ সালের ১ श्राद्धेन l ba পশ্চাৎ কোন মোকদ্দমায় কিংবা সেই মোকদ্দমার বিচার কার্য্যের পশ্চাৎ কোন সময়ে প্রাসঙ্গিক হয় । > কিন্তু উক্ত স্থলে যাহারা পূর্ব মোকদ্দমায় বাদী প্রতি বাদী ছিল পশ্চাৎ মোকদ্দমায় তাহারাই কিংবা স্বার্থ পক্ষে তাহাদের প্রতিনিধি বাদী প্রতিবাদী হওয়া এবং পূৰ্ব্ব মোকদমায় প্রতিবাদীর কূট পরীক্ষা করিবার স্বত্ব এবং স্থযোগ থাকা এবং পূর্ব মোকদ্দমার ইহুতে যে যে প্রশ্ন হয় দ্বিতীয় মোকদ্দমায় ভাবতঃ সেই সেই প্রশ্ন হওয়া প্রয়োজন । ব্যাখ্যা —এই ধারার অর্থানুসারে ফৌজদারী বিচার কি অনুসন্ধান কাৰ্য্য অভিযোগী ও অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে মোকদমা-ঘটিত কাৰ্য্য জ্ঞান হইবে । নুতন ফৌজদারীর কার্য্যবিধান আইন অর্থাৎ ১৮৭২ সালের ১০ আই নের ৩২৭ ধারায় বিধান হইয়াছে যে, কোন আসামী ধৃত হওয়ার পর পলায়ন করিলে উপযুক্ত নিয়মানুসারে তদন্ত করাতেও ষদি তাহাকে প্রাপ্ত হওয়া না যায়, তবে তাহার অসমক্ষে মোকদ্দমার বৃত্তান্ত জ্ঞাতসার ব্যক্তিগণের জবানবন্দী লণ্ডয়া যাইতে পাfরবে। এবং পরে আসামী উপস্থিত হইলে পূৰ্ব্ব পরীক্ষিত সাক্ষিগণকে যদি উপস্থিত করা অসম্ভব হয়, তবে পূৰ্ব্বের জবানবন্দী আসামীর বিরুদ্ধে প্রমাণরূপে গৃহীত হইবে। এটি নূতন বিধান বটে, কিন্তু সঙ্গত বোধ হয়। উক্ত আইনের ৩২৩ ও ৩২৫ ধারার বিধানানুসারে মাজিষ্ট্রটের নিকট প্রদত্ত চিকিৎসকের জবানবন্দী সেশনে প্রমাণ রূপে গৃহীত হইবে এবং রাসায়ণিক-পরীক্ষকের রিপোর্টও প্রমাণ স্বরূপ গ্রাহ্য হইবার নিয়ম হইয়াছে । মৃত্যু, দুষ্টাভিসঙ্কি, বা অক্ষমতা প্রযুক্ত সাক্ষী অনুপস্থিত থাকিলে ঐ ঐ বিষয় সন্তোষজনক রূপে প্রমাণীকৃত না হইলে অনুপস্থিত সাক্ষীর জবানবন্দী প্রমাণরূপে গৃহীত হইবে না। কালীনাথ ভূমিক দিগর বঃ হরদুর্গা চৌধুরাণী ভূতপূৰ্ব্ব সদর দেওয়ানী আদালতের ১৮৪৯ সালের ২১ এ ডিসেম্বরের নিম্পত্তি দ্রষ্টব্য ।