পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭২ সালের ৬ অাইন । ২ঠ ৩ হইয়া থাকে, কিংবা র্তাহারা যে প্রকারের শপথ অতি মান্য জ্ঞান করেন, সেই পক্ষ বা সেই সাক্ষী সেই প্রকারের শপথ করিয়া সাক্ষ্য দিতে চাহিলে ও তাহ ন্যায়বিচারের ও লজ্জা-জ্ঞানের বিপক্ষ না হইলে ও তদ্বারা তৃতীয় ব্যক্তির পক্ষে কোন ব্যাঘাতের ভাব দৃষ্ট না হইলে আদালত বিহিত বোধ করিলে তাহাকে তদ্রুপে শপথ করাইবেন। যে মোকদ্দমা-ঘটিত কার্য্যের এক পক্ষ কিংবা সাক্ষী এই ধারার প্রথম প্রকরণের উল্লিখিত শপথ গ্রহণ করিলে আমি সেই শপথ ক্রমে আপনাকে বদ্ধ জ্ঞান করিব, মোকদমা-ঘটিত কার্য্যের অন্য পক্ষ যদি এই রূপ কহেন, তবে সেই পক্ষ কি সাক্ষী ঐ রূপ শপথ করিবেন কি না, আদালত বিহিত বোধ করিলে তাহাকে ঐ কথা জিজ্ঞাসা করিবেন। যদি সেই পক্ষ কি সাক্ষী তন্দ্রপে শপথ করিতে স্বীকার করেন, তবে আদালত তাহাকে শপথ করাইবেন । কিন্তু শপথের ভাব বিবেচনায় তাহা সুবিধামতে আদালতের বাহিরে করা যাইতে পারিলে, আদালত শপথ করাইবার জন্য কোন ব্যক্তিকে কমিশ্যন দিতে পরিবেন, ও র্যাহার শপথ করাইতে হইবে তাহার সাক্ষ্য লইয়া আদালতে অপর্ণ করণার্থ ক্ষমতা দিতে পারিবেন । তদ্রুপে যে সাক্ষ্য দেওয়া যায়, যে ব্যক্তি সেই সাক্ষ্য দ্বারা আপনাকে বদ্ধ বলিয়া স্বীকার করিলেন, তাহার বিপক্ষে সেই সাক্ষ্য কথিত বিষয়ের সিদ্ধান্ত প্রমাণ হইবে ।