পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩• মনোনীত কমিটির রিপোর্ট ও পাগুলিপি । বলরামের দ্বারা কোন অপরাধ করিবার প্রকৃত্তি-জনক পত্র হইতে পারে। কিংবা আনন্দের ভিন্ন স্থানে থাকার প্রমাণ হইতে পারে। কিংবা অপরাধ স্বীকার-স্থচক পত্র হইতে পারে । অথবা মোকদমার সহিত ঐ বৃত্তান্তের অন্য সম্পর্ক থাকিতে পারে, কিন্তু নিমদই যে সেই পত্র লিখিল, এই কথায় যত কাল আদালতের প্রতীতি না হয় তত কাল আদালত সেই পত্রানুসারে কার্য্য করিতে পারিবেন না। আরো উপরোক্ত অন্যতর স্থলে উক্ত প্রতীতি জন্মাইবার একি ৰূপ পদ্ধতি অাছে ইহাই স্পষ্ট । যথা, কোন পত্র লেখাই অপরাধ, এমন স্থলে যদি আদালত মূলপত্র' অনাইবার আজ্ঞা দিতে পারেন, তবে কোন পত্র লেখা অপ-. বাদ করিবার প্রবৃত্তিজনক বিষয় হইলে সেই পত্রের প্রতিলিপি মাত্র আদালতের গ্রাহ্য করিবার কোন কারণ নাই | সংক্ষেপতঃ রত্তান্ত কিৰূপে সপ্রমাণ করা যাইবে, এই কথা মোকদ্দমার সহিত ঐ রক্তান্তের সম্পর্ক অনুসারে নিৰূপণ করা যাইবে না। ব্লত্তান্তের স্বতন্ত্র ভাবানুসারে নিৰূপণ করা যাইবে । - আদালত যে উপায় দ্বারা রত্তান্ত সত্য জানেন তাহাকে সাক্ষ্য বলে । অনেক স্থলে তাহার দুই শ্রেণী করা গিয়াছে অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ও আনুষঙ্গিক। কিন্তু আমরা তাহ গ্রাহ্য করি নাই। প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দ্বারা ই শু-ঘটিত রত্তান্ত ও আনুষঙ্গিক সাক্ষ্য দ্বার প্রতিপোষক রক্তান্ত স্থাপিত হয়, উক্ত দুই শ্রেণীর এই ৰূপ বিভিন্নত ব্যক্ত হইয়াছে। কিন্তু যেমন কাগজ শব্দের অথ করিতে হইলে তাহ ষে যে দ্রব্যে নিৰ্ম্মিত হয় তাহার বর্ণনা না করিয়া লিখিবার কিংবা ছাপিবার কৰ্ম্মে ব্যবহার্য্য দ্রব্য বলিয়া নির্ণয় করিলাম, উক্ত স্থলে তেমনি সাক্ষ্য সাত্ত্বিক গুণানুসারে শ্রেণীবদ্ধ না হইয়া যে কার্য্যে লাগে সেই কার্য্যানুসারে শ্রেণীবদ্ধ হইল। কিন্তু রত্তান্ত যে কার্য্যে বৰ্ত্তিবে তদনুসারে তাহার প্রমাণ-করিতে হইবে না, ভাবানুসারে প্রমাণ করিতে হইবে, ইহ পূৰ্ব্বে ব্যক্ত হইয়াছে । অতএব যে ব্লত্তান্তের প্রমাণ করিতে