পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোনীত কমিটির রিপোর্ট ও পাণ্ড লিপি । ২৩১ হইবে তাহার ভাব লক্ষ্য করিয়। সাক্ষ্যের অর্থ করিতে হইবে না, সাক্ষ্যেরই ভাবানুসারে অর্থ নির্ণয় করিতে হইবে । সময়াস্তরে উক্ত দুই শ্রেণীর এই ৰূপ বিভেদ নির্ণয় হয়, যথা, কোন ব্যক্তি স্বচক্ষে দেখিয়া কিংবা স্বকৰ্ণে শুনিয়া যাহ। কহে তাহাকে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য, ও অন্য যে যে বিষয় দ্বারা ইশুঘটিত বৃত্তান্তের অনুভূতি হয় তাহাকে আনুষঙ্গিক সাক্ষ্য কহিতে হইবে। পরন্তু সাক্ষ্য শব্দের এই ৰূপ ব্যবহার হইলে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য ও আনুষঙ্গিক সাক্ষ্য পরস্পর বিপরীত এই দুই কথায় সাক্ষ্য শব্দের বিভিন্ন অর্থ হয়। প্রথম স্থলে সাক্ষ্য বুঝায়। দ্বিতীয় স্থলে যে রত্তান্ত অনুভুতির মূল স্বৰূপ সেই রত্তান্ত বুঝায়। এই অর্থ ধরিতে গেলে “ প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দ্বার আনুষঙ্গিক সাক্ষ্যের প্রমাণ করিতে হইবে ” এই কথা কহিলেও দোষ হয় না । কিন্তু এই ৰূপ কথা অত্যন্ত অপটু ৷ পরস্তু ইহাতে সাক্ষ্য শব্দের অর্থের অস্পষ্টতার উপলব্ধি হয় | ফলতঃ (১) কোন ব্যাপার যে ঘটিয়াছে, এই বিষয়ে আদালতের নিশ্চিত জ্ঞান জন্মাইবার নিমিত্তে ষে কথা কহা যায় কিংর যে দ্রব্য উপস্থিত করা যায় তাহ সাক্ষ্য, অথবা (২) পূৰ্ব্বোক্ত মতে আদালত যে কুত্তান্ত নিশ্চিত জ্ঞান করিলেন তদ্বারা অন্য অন্য বৃত্তান্তের অনুভূতির উপলব্ধি হইলে তাহাই সাক্ষ্য । আমরা সাক্ষ্য শব্দের কেবল প্রথমোক্ত অর্থ ধরিয়াছি। সেই অর্থানুসারে তাহার তিন ভাগ করা গেল অর্থাৎ ১, বাচনিক সাক্ষ্য । ২, লিখিত সাক্ষ্য । ৩, দ্রব্যত্মিক সাক্ষ্য । উপসংহার স্থলে, যে সাক্ষ্য দ্বারা রত্তাস্তের প্রমাণ করা যাইবে তাহা আদালতে জ্ঞাত করাইয় বিচারার্থে সমপণ করিতে হইবে এবং আদালত তদ্বিষয়ের নির্ণয় করিবেন। 緣 এই সাধারণ কথানুসারে লক্ষিত বিষয় স্থনিয়ম মতে ও সম্যক ৰূপে বিভাগ করিবার নিম্নলিখিত মূলাঙ্গ পাওয়া গেল ।