পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোনীত কমিটির রিপোর্ট ও পাওলিপি ! , २8१ নিজ বিবেচনাধীন করণের বিধি ব্যবস্থায় ব্যক্ত থাকিলেও ইংলণ্ডে তদনুসারে প্রায় কার্য্য হয় না, কিন্তু এই দেশের বিশেষ অবস্থা বিবেচনা করিয়া কতক দূর পর্য্যস্ত সেই বিধি সকল করিৰাঁর অনুমতি প্রদান করা আবশ্যক জ্ঞান করিলাম। তৎক্রমে তিনি মোকদ্দমার বিচার কার্য্য চলনের কোন সময়ে প্রাসঙ্গিক কি অপ্রাসঙ্গিক কোন বৃত্তান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করিতে স্পষ্ট ক্ষমতা পাইলেন। এবং ফৌজদারী মোকদ্দমায় উভয় পক্ষ যে সাক্ষ্য দেন তিনি তাহা গ্রাহ্য করিয়া তদনুসারে নিম্পত্তি করিবেন মাত্র নয়, কিন্তু সাধারণের স্বার্থপক্ষে বিহিত বোধ করিলে তাহার সম্মুখে উপস্থিত বিষয়ের অন্ত পর্যন্ত সত্যতার তদন্ত লইবেন ইহা তাহার অতি কৰ্ত্তব্য বলিয়া স্পষ্ট ব্যক্ত করিলাম । বিচারপতিদের ও তাহাদের সম্মুখস্থ ব্যবহারাজীবদের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম ও অবস্থা সরল ও স্পষ্টৰূপে নির্ণয় করা এই বিধানের উদেশ্য । ইংলওঁীয় যে নিয়মমতে বিচারপতি ও ব্যবহারাজীবগণ সহযোগী হইয়া স্বাধীন ভাবে আপন আপন কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম করেন, তদ্বারাও সেই নিয়ম তাহাদের বৃত্তি-ঘটিত যে ধারামূলক হয় তজন্যে অনেক লাভ, ইহার সন্দেহ নাই। কিন্তু এতদেশে সেই নিয়ম নাই ও অনেক কাল গত ন হইলে ঐ নিয়ম প্রচলিত হইতেও পরিবে না । মফঃসল দেশে সাধারণ্যে অধিক ংশ মোকদ্দম কোন্সেলের সহায়তা ভিন্ন প্রচলিত হইয়। থাকে। কৌন্সেল নিযুক্ত হইলেও তাহাদিগকে অতি দূর স্থান হইতে জানাইতে হয় এবং ইংলওঁীয় জজেরা আপন আপন বৃত্তি-ঘটিত . যক্রপ শিক্ষা পাইয়াছেন, তদ্রুপ শিক্ষিত জজদের সম্মুখে তাহার উপস্থিত হন না। সুতরাং যে উকীলের ভঁাহাদের অপেক্ষ পারিভাষিক উত্তম জ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছেন, এবং ইংলওে আপীল করিবার ষে নিয়ম নাই, এতদেশে আপীল করিবার এমত অতি জটিল নিয়মের প্রচলন হওয়াতে বিচারাধিপতিদের উপর যে উকীলদের ক্ষমতা থাকে ভঁাহাদের নিকট