পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । বিচারের কার্য্য দুই ভাগে বিভক্ত ; বৃত্তান্ত অবধারণ করা ও অবধারিত বৃত্তান্তুে আইন প্রয়োগ করা । যদি বৃত্তান্ত সম্বন্ধে কোন তর্ক-বিতর্ক উপস্থিত না হইত অর্থাৎ বাদী যে বৃত্তান্তের কথা বলে, বিবাদী যদি তাহা অবিকৃতরূপে স্বীকার করিত, তবে বিচারকের কার্য্য অতি সংক্ষেপ ও সহজ হইয়া পড়িত, কিন্তু প্রকৃত অবস্থা সে রূপ নহে। মনুষ্যের মিথ্যা ব্যবহার, দুপ্রবৃত্তি বশতঃ অথবা তদভাবে অল্পবুদ্ধি ভ্রম এবং মানবীয় অসম্পূর্ণতা নিবন্ধন বৃত্তান্ত অবধারণ করা অতিশয় কঠিন ও গুরুতর কার্য্য হইয়া উঠিয়াছে। . বিচারকদিগকে ভূরি ভূরি ভ্রম, তঞ্চকতা এবং মিথ্যা ব্যবহারের মধ্য হইতে প্রকৃত বৃত্তান্ত নিৰ্ব্বাচন ও উদ্ধার করিয়া লইতে হয় ; যদ্বারা সেই রাশীকৃত আবর্জনা হইতে প্রকৃত বৃত্তান্ত নির্বাচন করা যায় তাহার নাম নিদর্শন। আর্ষ্য জাতীয় প্রাচীন পণ্ডিতেরাও নিদর্শনের ঐ রূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন । মনু বলেন “ যদ্বারা কোন বিষয় অবধারিত হয় তাহাকে নিদর্শন বলে । ,