পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব 1 蟹 ধ্বনি হওয়ার পর ক্ষণেই বলরাম জঙ্গল হইতে দৌড়িয়া পলায় ; আর অন্য প্রকারে সাব্যস্ত হওয়ায় বলরামের পকেটে যে একটি পিস্তল ঐ সময়ে পাওয়া গিয়াছিল, আনন্দের ক্ষত স্থান হইতে যে গুলি বাহির করা হয় তাহা উহার নালের সম্পূর্ণ উপযোণী, ও পিস্তল চালান জন্য যে কাগজ ব্যবহার করা হয় তাহা বলরামের নিকটে থাকা পত্রবিশেষের এক অংশ, এ স্থলে আনন্দ যে বলরাম কর্তৃক হত হইয়াছে তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ না থাকিলেও উপরোক্ত ঘটনা সমূহ উহার অপ্রত্যক্ষ বা অসাক্ষাৎ নিদর্শন। অসাক্ষাৎ নিদর্শনকে আনুষঙ্গিক অবস্থা ঘটিত বা অনুমিত নিদর্শন বলা গিয়া থাকে। ফৌজদারী মোকদ্দমায় অসাক্ষাৎ বা আনুষঙ্গিক নিদর্শন দ্বারা আসামীর দোষ সাব্যস্ত করিতে হইলে আনুষঙ্গিক নিদশন দোষীর প্রতি আরোপিত দোষের সম্পূর্ণ উপযোগী বা পোষক হইলেই ষে হইবে এমত নহে ; নিদর্শন এরূপ হওয়াও অত্যাবশ্যক যাহাতে দোষীর দোষ সাব্যস্ত ব্যতীত তদ্বিপরীত অন্য অনুমানই যুক্তিযুক্ত হইতে না পারে। যথা, উপরের লিখিত দৃষ্টান্তে বলরামের পকেটে কাগজ ও পিস্তল ষদি প্রাপ্ত হওয়া না যাইত, তবে সন্দেহের প্রবল কারণ থাকা সত্ত্বেও বলরামের হত্যাদোষ সাব্যস্ত পক্ষে অন্যান্য ঘটনা প্রচুর ও নিঃসংশয় প্রমাণরূপে পরিগণিত হইত না, কারণ, এরূপ অনুমান সঙ্গতরাপেই করা যাইতে পারে যে, বলরাম বিবাদ করিয়া জঙ্গলে প্রবেশ করার পরেই কোন মৃগয়াসক্ত ব্যক্তি লক্ষিত পশুর প্রতি যে গুলি চালনা করে তাহাই আসিয়া আনন্দের পৃষ্ঠদেশে প্রবিষ্ট হুইয়াছিল এবং বলরাম আপনার