পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব । q ও উপস্থিত হইতে পারার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বে তল্লিখিত বিষয়ের প্রমাণ জন্য বাচনিক সাক্ষ্য যাহা দূরবর্তী বা দ্বিতীয় কল্পের নিদর্শন তাহ গৃহীত হইতে পারে না। যে নিদর্শন আইনের স্পষ্ট বিধানানুসারে লিখিত হওয়াই উচিত তদ্বিনিময়ে বাচনিক নিদশন গ্রহণ একেবারেই নিষিদ্ধ। দেওয়ানী ও ফৌজদারীর কার্য্যবিধানের মৰ্ম্মমত সাক্ষীর পরীক্ষা ( জবানবন্দী ) লিখিত হওয়া উচিত। ' রেজিষ্টরী আইন অর্থাৎ ১৮৭১ সনের ৯ আইনের বিধান মত তমাদির বাধা হইতে কোন ঋণের দাবী মুক্ত করিতে হইলে দেনার স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ হওয়া আবশ্ব্যক । উপরোক্ত সকল লিখিত নিদর্শনের বিনিময়ে বাচনিক নিদর্শন সৰ্ব্বথারূপে অগ্রাহ । বাদী বিবাদী যে কোন চুক্তি লিপিবদ্ধ করিয়াছে জানা যায়, সেই চুক্তি কোন মোকদ্দমার মূল বিষয় হইলে তৎপরিবর্তে বাচনিক নিদর্শন অগ্রাহ। যথা, বাকী খাজানার মোকদমায় বার্ষিক রাজস্বের পরিমাণ বিষয়ে তর্ক উপস্থিত হইল, সাক্ষীর বাচকতায় প্রকাশ হইল যে, উভয় বিবাদীর মধ্যে রাজস্বের পরিমাণ অবধারিত হইয়া একটি পাট্টা লিপিবদ্ধ হইয়াছিল ; এস্থলে ঐ পাট্টা অবশ্যই নিদর্শনস্বরূপ উপস্থিত করিতে হইবে ; বিপক্ষের হস্তে ঐ পাট্টা থাকিলেও উহা উপস্থিত করিবার বাধা নাই। ১৮৫৯ সালের ৮ আইনের ৪০, ৪৩ ও ১০৭ ধারার মৰ্ম্ম মত উক্ত প্রকারের দলীল বলপূৰ্ব্বক উপস্থিত করা যাইতে পারে। কোন দলীল লিপি হওয়া না হওয়া কি কোন দলীলে যে