পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব l *意 ঘাঁহাতে নিবারিত হয় তৎপক্ষে ব্যবস্থাপকগণ যত দূর সাধ্য উপায় বিধান করিয়াছেন। প্রথম উপায় এই যে, ধৰ্ম্মপ্রতিজ্ঞার দ্বারা পারলৌকিক, ও দণ্ডবিধিতে মিথ্য সাক্ষীর সাত বৎসর পর্য্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান দ্বারা ঐহিক শাসনের উত্তম বিধান করা হইয়াছে, (১৮৪০ সালের ৫ আইন ও ১৮৭২ সালের ৬ আইন এবং দণ্ডবিধি অর্থাৎ ১৮৬০ সালের ৪৫ আইনের ১৯৩ হইতে ২০১ ধারা দ্রষ্টব্য )। দ্বিতীয় উপায় এই যে, সাক্ষীর উক্তি যে পক্ষের বিরুদ্ধে হয় অর্থাৎ উপরোক্ত উক্তি দ্বারা যে পক্ষের ক্ষতি সম্ভাবনা সেই পক্ষের সম্মুখে সাক্ষর পরীক্ষা ও কূটপ্রশ্নের নিয়ম। কূটপ্রশ্নবলে সাক্ষীর ইচ্ছার বিরুদ্ধেও অনেক সত্য বিষয়ের আবিষ্কার হইয়া পড়ে । বুদ্ধিমান ও সুদক্ষ লোকদ্বারা কূটপ্রশ্ন প্রয়োগ হইলে মিথ্য সাক্ষীর পরিচয় নিশ্চয়ই হইয়া থাকে। কূটপ্রশ্ন প্রয়োগ করিতে সমধিক নিপুণতা ও কৌশলের প্রয়োজন হয়। কুটপ্রশ্নকে নিদর্শনতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা দ্বিধারবিশিষ্ট অস্ত্র স্বরূপ বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন, সমধিক সতর্কতা ও বুদ্ধির সহিত চালনা করিতে না পারিলে অনায়াসেই চালকের অঙ্গ ক্ষত হইতে পারে। অনেক অশিক্ষিত ও মোকদ্দমার অবস্থার অনভিজ্ঞ উকীল মোক্তার অনেক সময়ে স্বপক্ষের ক্ষতিজনক প্রশ্ন করিয়া আপনাপন পরাজয়ের কারণ হইয়া থাকেন। সুবিখ্যাত নিদর্শনতত্ত্বলেখক বেনথাম সাহেব যে চারিটি কারণে লোকের মিথ্যাপেক্ষা সত্য বলিবার অধিকতর সম্ভাবনা থাকা সিদ্ধান্ত করেন, নিম্নে তাহার উল্লেখ করা যুইতেছে। প্রথম কারণকে তিনি প্রকৃতিনিষিদ্ধ কারণ কহেন অর্থাৎ মিথ্যা